১২:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

জাবি শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জামায়াত নেতার মানহানির মামলা

মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য ছড়ানোর অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. নাহরিন ইসলাম খানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের প্রার্থী ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে সিরাজগঞ্জ সদর থানা আমলি আদালতে দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
জানা যায়, গত ২৫ অক্টোবর গাজী টিভির ‘রেইনবো নেশন বনাম ধর্মীয় কার্ড’ শীর্ষক অনুষ্ঠান প্রচারের সময় সঞ্চালক কাজী জেসিনের উপস্থিতিতে ড. নাহরিন ইসলাম খান বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারকে কেন্দ্র করে সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারিকে নিয়ে মানহানিকর বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, জামায়াতের সিরাজগঞ্জ শাখার সেক্রেটারি গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতারা পালিয়ে গেলে তাদের স্ত্রীদের প্রতি ‘জামায়াতের হক’ বলেছিলেন। অর্থাৎ তিনি বুঝিয়েছেন, ‘জামায়াতের লোকেরা নারী লোভী’। ইতোমধ্যে সেই ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে।
তবে বিবিসি বাংলার সাক্ষাৎকার পর্যালোচনা করে দেখা যায়, জামায়াত নেতা বলেছিলেন ৫ আগস্টের পরে আওয়ামী লীগের কর্মীরা বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন। তবে আমাদের দ্বারা কেউ হয়রানির শিকার হয়নি। আমাদের ধারণা, আওয়ামী লীগের সাধারণ ভোটার ও সাপোর্টার ভোটারদের ভোট আমাদের দিকে আসবে।
এ বিষয়ে জামায়াত নেতা অধ্যাপক জাহিদুলের গণমাধ্যমকে বলেন, এই বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও কুরুচিপূর্ণ। যা আমার ব্যক্তিগত মর্যাদা ও জামায়াতে ইসলামীর ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। এমনকি এই ধরনের কথা কখনো বলিনি। এটা মিথ্যা প্রচার। জামায়াত ইসলামী ও তার দলের বিরুদ্ধে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এই বক্তব্য দেওয়া হয়েছে।

অধ্যাপক ড. নাহরিন ইসলাম খান বলেন, যে বক্তব্যটা আমি কোট করেছিলাম, দুই সপ্তাহ বক্তব্যের ফটোকার্ড সারা দুনিয়া ঘুরেছে, তখন সেটা তাদের চোখে পড়েনি, এবং যিনি এই বক্তব্য দিয়েছেন তার বক্তব্যটিও আর অনলাইনে নেই। যখন একটা তথ্য পত্রিকায় অথবা টেলিভিশনে ঘুরে এটার সত্যতা যাচাই করার দায়িত্ব সরকারের, পাঠকের না। কারণ একজন পাঠক জানেন না এটা মিসইনফরমেশন নাকি ডিজইনফরমেশন। একটা টক শো ছিল মির্জা গালিবের সঙ্গে, সেসময় মির্জা গালিব এ বিষয়ে কিছুই বলেননি বা প্রতিবাদ করেননি। কিন্তু একদিন পরে তিনি ফেসবুকে আপলোড দিয়েছেন যে, এটার জন্য আমাকে ক্ষমা চাইতে হবে। আর এ ধরনের যদি কোনো মামলা করতেই হয় তাহলে যেখান থেকে সেটা ছড়িয়েছে (ফেসবুক) তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে।
এছাড়া তিনি আরো বলেন, জাকসু নির্বাচনে আমার একটা ভূমিকা ছিল, সেখানে আরো দুইজন শিক্ষক ছিলেন তাদেরকেও বিভিন্নভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছিল। আমি মনে করি যে এটা আমার বিরুদ্ধে পূর্ব পরিকল্পিত অ্যাকশন।

জনপ্রিয়

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে কাজ করতে হবে: আতাউর রহমান সম্ভু

জাবি শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জামায়াত নেতার মানহানির মামলা

প্রকাশের সময় : ০৭:২৬:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫

মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য ছড়ানোর অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. নাহরিন ইসলাম খানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের প্রার্থী ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে সিরাজগঞ্জ সদর থানা আমলি আদালতে দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
জানা যায়, গত ২৫ অক্টোবর গাজী টিভির ‘রেইনবো নেশন বনাম ধর্মীয় কার্ড’ শীর্ষক অনুষ্ঠান প্রচারের সময় সঞ্চালক কাজী জেসিনের উপস্থিতিতে ড. নাহরিন ইসলাম খান বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারকে কেন্দ্র করে সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারিকে নিয়ে মানহানিকর বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, জামায়াতের সিরাজগঞ্জ শাখার সেক্রেটারি গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতারা পালিয়ে গেলে তাদের স্ত্রীদের প্রতি ‘জামায়াতের হক’ বলেছিলেন। অর্থাৎ তিনি বুঝিয়েছেন, ‘জামায়াতের লোকেরা নারী লোভী’। ইতোমধ্যে সেই ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে।
তবে বিবিসি বাংলার সাক্ষাৎকার পর্যালোচনা করে দেখা যায়, জামায়াত নেতা বলেছিলেন ৫ আগস্টের পরে আওয়ামী লীগের কর্মীরা বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন। তবে আমাদের দ্বারা কেউ হয়রানির শিকার হয়নি। আমাদের ধারণা, আওয়ামী লীগের সাধারণ ভোটার ও সাপোর্টার ভোটারদের ভোট আমাদের দিকে আসবে।
এ বিষয়ে জামায়াত নেতা অধ্যাপক জাহিদুলের গণমাধ্যমকে বলেন, এই বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও কুরুচিপূর্ণ। যা আমার ব্যক্তিগত মর্যাদা ও জামায়াতে ইসলামীর ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। এমনকি এই ধরনের কথা কখনো বলিনি। এটা মিথ্যা প্রচার। জামায়াত ইসলামী ও তার দলের বিরুদ্ধে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এই বক্তব্য দেওয়া হয়েছে।

অধ্যাপক ড. নাহরিন ইসলাম খান বলেন, যে বক্তব্যটা আমি কোট করেছিলাম, দুই সপ্তাহ বক্তব্যের ফটোকার্ড সারা দুনিয়া ঘুরেছে, তখন সেটা তাদের চোখে পড়েনি, এবং যিনি এই বক্তব্য দিয়েছেন তার বক্তব্যটিও আর অনলাইনে নেই। যখন একটা তথ্য পত্রিকায় অথবা টেলিভিশনে ঘুরে এটার সত্যতা যাচাই করার দায়িত্ব সরকারের, পাঠকের না। কারণ একজন পাঠক জানেন না এটা মিসইনফরমেশন নাকি ডিজইনফরমেশন। একটা টক শো ছিল মির্জা গালিবের সঙ্গে, সেসময় মির্জা গালিব এ বিষয়ে কিছুই বলেননি বা প্রতিবাদ করেননি। কিন্তু একদিন পরে তিনি ফেসবুকে আপলোড দিয়েছেন যে, এটার জন্য আমাকে ক্ষমা চাইতে হবে। আর এ ধরনের যদি কোনো মামলা করতেই হয় তাহলে যেখান থেকে সেটা ছড়িয়েছে (ফেসবুক) তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে।
এছাড়া তিনি আরো বলেন, জাকসু নির্বাচনে আমার একটা ভূমিকা ছিল, সেখানে আরো দুইজন শিক্ষক ছিলেন তাদেরকেও বিভিন্নভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছিল। আমি মনে করি যে এটা আমার বিরুদ্ধে পূর্ব পরিকল্পিত অ্যাকশন।