১২:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

হাবিপ্রবি কেন্দ্রীয় মন্দিরে নেই বিদুৎ ব্যবস্থা, মন্দির স্থায়ীকরনের দাবি শিক্ষার্থীদের

উত্তরবঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই স্থায়ী কেন্দ্রীয় মন্দির,অস্থায়ী মন্দিরেই পালিত হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান।তবে এরই মধ্যে নিরাপত্তা, অবকাঠামগত উন্নতি এবং মন্দির স্থায়ীকরণ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে শঙ্কা ।সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা দ্রুতই এর সমাধান চায়।।

বর্তমানে প্রশাসনের অনুমতিতে দেওয়া এক অস্থায়ী জায়গায় সনাতনী শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে স্থাপিত হয় কেন্দ্রীয় মন্দির। হাবিপ্রবি কেন্দ্রীয় মন্দির ২০২৪ সালে স্থাপিত হলেও সেরকম (একটি মন্দিরের যেমন হওয়া উচিত) অবকাঠামোগত উন্নতি এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি। তারপরেও হাবিপ্রবি সনাতনী শিক্ষার্থীরা এই কঠিন বাস্তবতা মেনে নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশেই পালন করে যাচ্ছেন তাদের ধর্মীয় আচার আচরণ।তবে এরই মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থীদের নানা রকম অভিযোগ।

শিক্ষার্থীরা বলেন :

প্রায় ১ বছর আগে হাবিপ্রবি কেন্দ্রীয় মন্দিরে বৈদ্যুতিক লাইন চুরি হয়েছে।এক বছর ধরে এডভাইজার ও প্রক্টর স্যারের সাথে যোগাযোগ,এপ্লিকেশন দিয়েও কোন কাজ হচ্ছে না।

গত ৮ মাস ধরে মন্দির এলাকায় বাউন্ডারির বৈদ্যুতিক লাইন ব্যবহার হচ্ছে, যা শুধু সন্ধ্যা ৬টা থেকে জ্বলে—ফ্যান চালানোও সম্ভব নয়। সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে লাইন ছিঁড়ে গেছে, তবুও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনও উদ্যোগ নেয়নি। দীপাবলির আগে লাইন দেয়ার আশ্বাস বারবার (প্রায় ৫০ বার) দেওয়া হলেও ব্যবস্থা হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তেমন কোনো আর্থিক সহায়তা নেই। সরস্বতী ও জন্মাষ্টমী ছাড়া অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য কোনো বাজেট বা অনুদান থাকে না।

হাবিপ্রবি সনাতন বিদ্যার্থী সংসদের সভাপতি রিপন চন্দ্র সেন বলেন:
২০১৩ সালে রিজেন্ট বোর্ডে পাশ হওয়া হাবিপ্রবি কেন্দ্রীয় মন্দির,২০২৩ সালে ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের মুখে প্রশাসন যে অস্থায়ী জায়গা দেখায় দেয়,তা আমাদের সাথে প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়।এরকম টালবাহানা দ্রুত আশু ঘটুক।বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় এমন উদাসীনতা, অবহেলা কাম্য নয়।প্রশাসন কে অনুরোধ করছি,যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে মন্দির স্থায়ীকরন করে, পরিবেশ তৈরি করে দিন।

হাবিপ্রবি মন্দিরের এই সমস্যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও লিখেছেন অনেক শিক্ষার্থী, তবে তাদের প্রশাসনের প্রতি একটাই দাবি, মন্দিরের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা চাই,স্থায়ী মন্দির চাই।

জনপ্রিয়

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে কাজ করতে হবে: আতাউর রহমান সম্ভু

হাবিপ্রবি কেন্দ্রীয় মন্দিরে নেই বিদুৎ ব্যবস্থা, মন্দির স্থায়ীকরনের দাবি শিক্ষার্থীদের

প্রকাশের সময় : ০২:২৯:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫

উত্তরবঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই স্থায়ী কেন্দ্রীয় মন্দির,অস্থায়ী মন্দিরেই পালিত হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান।তবে এরই মধ্যে নিরাপত্তা, অবকাঠামগত উন্নতি এবং মন্দির স্থায়ীকরণ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে শঙ্কা ।সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা দ্রুতই এর সমাধান চায়।।

বর্তমানে প্রশাসনের অনুমতিতে দেওয়া এক অস্থায়ী জায়গায় সনাতনী শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে স্থাপিত হয় কেন্দ্রীয় মন্দির। হাবিপ্রবি কেন্দ্রীয় মন্দির ২০২৪ সালে স্থাপিত হলেও সেরকম (একটি মন্দিরের যেমন হওয়া উচিত) অবকাঠামোগত উন্নতি এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি। তারপরেও হাবিপ্রবি সনাতনী শিক্ষার্থীরা এই কঠিন বাস্তবতা মেনে নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশেই পালন করে যাচ্ছেন তাদের ধর্মীয় আচার আচরণ।তবে এরই মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থীদের নানা রকম অভিযোগ।

শিক্ষার্থীরা বলেন :

প্রায় ১ বছর আগে হাবিপ্রবি কেন্দ্রীয় মন্দিরে বৈদ্যুতিক লাইন চুরি হয়েছে।এক বছর ধরে এডভাইজার ও প্রক্টর স্যারের সাথে যোগাযোগ,এপ্লিকেশন দিয়েও কোন কাজ হচ্ছে না।

গত ৮ মাস ধরে মন্দির এলাকায় বাউন্ডারির বৈদ্যুতিক লাইন ব্যবহার হচ্ছে, যা শুধু সন্ধ্যা ৬টা থেকে জ্বলে—ফ্যান চালানোও সম্ভব নয়। সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে লাইন ছিঁড়ে গেছে, তবুও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনও উদ্যোগ নেয়নি। দীপাবলির আগে লাইন দেয়ার আশ্বাস বারবার (প্রায় ৫০ বার) দেওয়া হলেও ব্যবস্থা হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তেমন কোনো আর্থিক সহায়তা নেই। সরস্বতী ও জন্মাষ্টমী ছাড়া অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য কোনো বাজেট বা অনুদান থাকে না।

হাবিপ্রবি সনাতন বিদ্যার্থী সংসদের সভাপতি রিপন চন্দ্র সেন বলেন:
২০১৩ সালে রিজেন্ট বোর্ডে পাশ হওয়া হাবিপ্রবি কেন্দ্রীয় মন্দির,২০২৩ সালে ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের মুখে প্রশাসন যে অস্থায়ী জায়গা দেখায় দেয়,তা আমাদের সাথে প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়।এরকম টালবাহানা দ্রুত আশু ঘটুক।বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় এমন উদাসীনতা, অবহেলা কাম্য নয়।প্রশাসন কে অনুরোধ করছি,যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে মন্দির স্থায়ীকরন করে, পরিবেশ তৈরি করে দিন।

হাবিপ্রবি মন্দিরের এই সমস্যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও লিখেছেন অনেক শিক্ষার্থী, তবে তাদের প্রশাসনের প্রতি একটাই দাবি, মন্দিরের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা চাই,স্থায়ী মন্দির চাই।