১১:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

কালিহাতীতে ঝড়-বৃষ্টিতে হেলে পড়েছে আমন ধান

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে যখন আমন ধানগাছগুলো পাকার অপেক্ষায় দুলছিল, ঠিক তখনই কৃষকের কপালে নতুন চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। গত দুইদিন ধরে অবিরাম বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে মাঠের ধানগাছ হেলে পড়েছে, কোথাও জমিতে পানি জমে গেছে। নিচু এলাকার অনেক ধানক্ষেত তলিয়ে গেছে। ফলে শত শত কৃষক দুশ্চিন্তা ও হতাশায় পড়েছেন।

শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার স্বল্লা, হাতিয়া, দেউপুর ও বিলছায়া এলাকা ঘুরে দেখা যায়— সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দমকা হাওয়া ও মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। এই অবস্থায় ধানগাছগুলো মাটিতে হেলে পড়েছে, কোথাও পানির নিচে ডুবে আছে। কৃষকরা বলছেন, ধান পুরোপুরি পাকার আগেই এমন বৈরী আবহাওয়া ফলনে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।

স্বল্লা গ্রামের কৃষক আব্দুল করিম বলেন, “ধান এখনো পুরোপুরি পাকে নাই। কিন্তু বাতাসে গাছ হেলে পড়েছে, নিচু জমিতে পানি জমে গেছে। এখন রোদ না উঠলে ধানগাছ পচে যেতে পারে।”

দেউপুর গ্রামের কৃষক রহিম মিয়া জানান, “এই অবস্থায় ধান ঠিকমতো বেড়ে উঠবে না। বৃষ্টিতে জমি জলমগ্ন হয়ে গেছে। কয়েকদিন এমন থাকলে ফলনে অনেক ক্ষতি হবে। শ্রমিকের খরচও বেড়ে যাবে।”

বিলছায়া এলাকার কৃষকরা জানান, এবছর শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন ভালো হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিচু এলাকার ফসল।

জনপ্রিয়

পালিয়ে গিয়েও হাসিনার সন্ত্রাস থামছে না: প্রেস সচিব

কালিহাতীতে ঝড়-বৃষ্টিতে হেলে পড়েছে আমন ধান

প্রকাশের সময় : ০৭:৪৮:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে যখন আমন ধানগাছগুলো পাকার অপেক্ষায় দুলছিল, ঠিক তখনই কৃষকের কপালে নতুন চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। গত দুইদিন ধরে অবিরাম বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে মাঠের ধানগাছ হেলে পড়েছে, কোথাও জমিতে পানি জমে গেছে। নিচু এলাকার অনেক ধানক্ষেত তলিয়ে গেছে। ফলে শত শত কৃষক দুশ্চিন্তা ও হতাশায় পড়েছেন।

শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার স্বল্লা, হাতিয়া, দেউপুর ও বিলছায়া এলাকা ঘুরে দেখা যায়— সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দমকা হাওয়া ও মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। এই অবস্থায় ধানগাছগুলো মাটিতে হেলে পড়েছে, কোথাও পানির নিচে ডুবে আছে। কৃষকরা বলছেন, ধান পুরোপুরি পাকার আগেই এমন বৈরী আবহাওয়া ফলনে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।

স্বল্লা গ্রামের কৃষক আব্দুল করিম বলেন, “ধান এখনো পুরোপুরি পাকে নাই। কিন্তু বাতাসে গাছ হেলে পড়েছে, নিচু জমিতে পানি জমে গেছে। এখন রোদ না উঠলে ধানগাছ পচে যেতে পারে।”

দেউপুর গ্রামের কৃষক রহিম মিয়া জানান, “এই অবস্থায় ধান ঠিকমতো বেড়ে উঠবে না। বৃষ্টিতে জমি জলমগ্ন হয়ে গেছে। কয়েকদিন এমন থাকলে ফলনে অনেক ক্ষতি হবে। শ্রমিকের খরচও বেড়ে যাবে।”

বিলছায়া এলাকার কৃষকরা জানান, এবছর শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন ভালো হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিচু এলাকার ফসল।