০৬:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫

ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লেখায় আমার দেশ বন্ধ করতে ফেসবুকে মিথ্যাচার

  • এবিএন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৫:২৫:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • 9

ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লেখায় ‘আমার দেশ’ বন্ধ করতে ফেসবুকে মিথ্যাচার করছেন ভারতীয় দালালেরা বলে মন্তব্য করেছেন পত্রিকাটির সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

রোববার সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানার আদালতে প্রথম আলো পত্রিকায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ নিয়ে আমার দেশ পত্রিকা’কে জড়িয়ে ফেসবুকে মিথ্যা প্রচার করার অভিযোগে দুই জনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছন পত্রিকাটির সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। এতে আসামি করা হয় প্রথম আলোর কলাম লেখক এ এফ এম রাশেদুল হক (মল্লিক মারুফ) ও বিএনপির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান এপোলো’কে।

এর আগে আদালত মাহমুদুর রহমানের জবানবন্দি রেকর্ড করে মামলাটি আদেশের জন্য অপেক্ষমান রাখেন। পরে আদালত থেকে বেরিয়ে পত্রিকাটির সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, “আমার দেশ গণমানুষের পত্রিকা হয়ে উঠেছে। এটা বাংলাদেশ বিরোধী শক্তির কাছে পছন্দ হচ্ছে না। আপনারা জানেন যে বিগত সরকারের সময় আমার দেশ পত্রিকার ওপরে কি পরিমান জুলুম করা হয়েছে। মহান জুলাই বিপ্লবের পর আবারো আমরা ফিরে এসেছি জনগণরে কথা বলার জন্যে। গত এক বছরে আমার দেশ পত্রিকা অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। আমরা যাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি প্রধাননত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে এবং ভারতীয় সম্প্রসারণবাদের বিরুদ্ধে। সেই লড়াই যারা করেছি তার মধ্যে একটা শত্রু বিতারিত হয়েছে। কিন্তু ভারতীয় সম্প্রসারণবাদের আঘাত তো এখনো চলছে বাংলাদেশে। আপনারা জানেন যে ভারত থোকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কিভাবে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরীর চেষ্টা চলছে। সুতরাং ভারতীয় সম্প্রসারণবাদের দালালেরা, তারা চাচ্ছেনা যে আমার দেশ পত্রিকা চলুক। কাজেই তারা আবার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তারা আবার পত্রিকা বন্ধ করতে চাচ্ছে এবং এই কারণে এরকম একটি জঘণ্য মিথ্যাচার তারা চালিয়ে যাচ্ছে।”

তিনি আরো বলেন, “প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের আক্রমনের দুঃখজনক পরিস্থিতি কেন্দ্র করে, যেখানে আমার দেশ পত্রিকা চেষ্টা করেছে এর বিরুদ্ধে দাড়াতে এবং আপনারা অবগত আছেন আমি সর্বপ্রথম বক্তব্য দিয়েছি জনগণকে শান্ত থাকবার জন্যে। এমনকি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর ইউনুসের বক্তব্যের আগে আমার বক্তব্য মিডিয়াতে এসেছে। শুধু তাই নয় রাতে বেলা যখন আক্রান্ত হয়েছে প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার তখন একাধিক উপদেষ্টার সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। তাদেরকে আমি সহায়তা দিয়েছি এবং আমি তাদেরকে বলেছি আপনারা যদি আমার জন্যে গাড়ির ব্যবস্থা করতে পারেন তাহলে আমি নিজে গিয়ে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মব থামানোর চেষ্টা করবো। কিন্তু সরকার গাড়ির ব্যবস্থা করতে পারেন নাই। কাজেই আমি ব্যক্তিগতভাবে যেতে পারিনাই। ব্যক্তিগতভাবে আমি যেতে চেয়েছিলাম সেটার কোনো অপ্রিসিয়েশন না করে উল্টো প্রথম আলোতে লেখালেখি করেন সেরকম একজন ব্যক্তি মারুফ মল্লিক অত্যন্ত ঘৃণ্যভাবে আমার দেশ বিরুদ্ধে তিনি বলেছেন, আমার দেশ এটার সাথে জড়িত আছে। এ ধরণের একটি ঈঙ্গিত তিনি দিয়েছেন তার পোস্টে এবং আরো একজন যিনি আনার বাংলাদেশের একটি বৃহৎ দলের একজন খুব প্রভাবশালী নেতা তিনি আবার সেই পোস্ট সমর্থন করে আরেকটি পোস্ট দিয়েছেন। তার অর্থ হচ্ছে তারা মিলিতভাবে আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ করতে চায় এই দুই ব্যক্তি। এখন এই দুই ব্যক্তির সাথে আরো লোকজন থাকতে পারে আমরা জানিনা। সরকারে দায়িত্ব খুজে বের করা। কিন্তু এই দুই জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাননীয় আদালতে ৫০০, ৫০০৫ ও ১০৯ এই তিন ধারায় আমি মামলা করেছি। তিন ধারার মধ্যে ৫০০ এবং ১০৯ ধারা মাননীয় আদালত নীতিগতবাবে গ্রহণ করেছেন। কিন্তু ৫০৫ ধারায় যেহেতু সরকারে অনুমোদন লাগে এজন্যে তিনি আদেশ প্রদান অপেক্ষমান রেখেছেন।”

মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ১৯ ডিসেম্বর প্রথম আলোর কলাম লেখক এএফএম রাশেদুল হক (মারুফ মল্লিক) তার ফেসবুক আইডি থেকে ‘প্রথম আলো অফিসে হামলায় আমার দেশের জড়িত থাকার সম্ভাবনা’ বিষয়ে পোস্ট দেন। এরপর ওই পোস্ট শেয়ার করেন বিএনপির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক একেএম ওয়াহিদুজ্জামান এপোলো। ঢাকার তেজগাঁও থানাধীন কারওয়ান বাজারে আমার দেশ পত্রিকার প্রধান কার্যালয়ে অবস্থানকালে বাদী (মাহমুদুর রহমান) আসামিদের ফেসবুক পোস্ট দুটি সম্পর্কে জানতে পেরে হতবিহ্বল হয়ে পরেন। আসামিদের এই জঘন্য মিথ্যাচারের কারণে বাদী ও তার দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হওয়ার পাশাপাশি পত্রিকাটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, কলা-কুশলী ও ব্যক্তিদের মানহানির কারণ হয়েছে এবং তাদের ব্যাপারে জনমনে শত্রুতা, ঘৃণা, অসন্তোষ ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করেছে।

জনপ্রিয়

“আওলিয়া কেরামের শিক্ষা এবং দ্বীন মিল্লাতের জাতীয় স্বার্থকে সব কিছুর উপরে স্থান দিতে হবে” -আল্লামা ইমাম হায়াত

ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লেখায় আমার দেশ বন্ধ করতে ফেসবুকে মিথ্যাচার

প্রকাশের সময় : ০৫:২৫:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫

ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লেখায় ‘আমার দেশ’ বন্ধ করতে ফেসবুকে মিথ্যাচার করছেন ভারতীয় দালালেরা বলে মন্তব্য করেছেন পত্রিকাটির সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

রোববার সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানার আদালতে প্রথম আলো পত্রিকায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ নিয়ে আমার দেশ পত্রিকা’কে জড়িয়ে ফেসবুকে মিথ্যা প্রচার করার অভিযোগে দুই জনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছন পত্রিকাটির সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। এতে আসামি করা হয় প্রথম আলোর কলাম লেখক এ এফ এম রাশেদুল হক (মল্লিক মারুফ) ও বিএনপির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান এপোলো’কে।

এর আগে আদালত মাহমুদুর রহমানের জবানবন্দি রেকর্ড করে মামলাটি আদেশের জন্য অপেক্ষমান রাখেন। পরে আদালত থেকে বেরিয়ে পত্রিকাটির সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, “আমার দেশ গণমানুষের পত্রিকা হয়ে উঠেছে। এটা বাংলাদেশ বিরোধী শক্তির কাছে পছন্দ হচ্ছে না। আপনারা জানেন যে বিগত সরকারের সময় আমার দেশ পত্রিকার ওপরে কি পরিমান জুলুম করা হয়েছে। মহান জুলাই বিপ্লবের পর আবারো আমরা ফিরে এসেছি জনগণরে কথা বলার জন্যে। গত এক বছরে আমার দেশ পত্রিকা অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। আমরা যাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি প্রধাননত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে এবং ভারতীয় সম্প্রসারণবাদের বিরুদ্ধে। সেই লড়াই যারা করেছি তার মধ্যে একটা শত্রু বিতারিত হয়েছে। কিন্তু ভারতীয় সম্প্রসারণবাদের আঘাত তো এখনো চলছে বাংলাদেশে। আপনারা জানেন যে ভারত থোকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কিভাবে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরীর চেষ্টা চলছে। সুতরাং ভারতীয় সম্প্রসারণবাদের দালালেরা, তারা চাচ্ছেনা যে আমার দেশ পত্রিকা চলুক। কাজেই তারা আবার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তারা আবার পত্রিকা বন্ধ করতে চাচ্ছে এবং এই কারণে এরকম একটি জঘণ্য মিথ্যাচার তারা চালিয়ে যাচ্ছে।”

তিনি আরো বলেন, “প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের আক্রমনের দুঃখজনক পরিস্থিতি কেন্দ্র করে, যেখানে আমার দেশ পত্রিকা চেষ্টা করেছে এর বিরুদ্ধে দাড়াতে এবং আপনারা অবগত আছেন আমি সর্বপ্রথম বক্তব্য দিয়েছি জনগণকে শান্ত থাকবার জন্যে। এমনকি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর ইউনুসের বক্তব্যের আগে আমার বক্তব্য মিডিয়াতে এসেছে। শুধু তাই নয় রাতে বেলা যখন আক্রান্ত হয়েছে প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার তখন একাধিক উপদেষ্টার সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। তাদেরকে আমি সহায়তা দিয়েছি এবং আমি তাদেরকে বলেছি আপনারা যদি আমার জন্যে গাড়ির ব্যবস্থা করতে পারেন তাহলে আমি নিজে গিয়ে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মব থামানোর চেষ্টা করবো। কিন্তু সরকার গাড়ির ব্যবস্থা করতে পারেন নাই। কাজেই আমি ব্যক্তিগতভাবে যেতে পারিনাই। ব্যক্তিগতভাবে আমি যেতে চেয়েছিলাম সেটার কোনো অপ্রিসিয়েশন না করে উল্টো প্রথম আলোতে লেখালেখি করেন সেরকম একজন ব্যক্তি মারুফ মল্লিক অত্যন্ত ঘৃণ্যভাবে আমার দেশ বিরুদ্ধে তিনি বলেছেন, আমার দেশ এটার সাথে জড়িত আছে। এ ধরণের একটি ঈঙ্গিত তিনি দিয়েছেন তার পোস্টে এবং আরো একজন যিনি আনার বাংলাদেশের একটি বৃহৎ দলের একজন খুব প্রভাবশালী নেতা তিনি আবার সেই পোস্ট সমর্থন করে আরেকটি পোস্ট দিয়েছেন। তার অর্থ হচ্ছে তারা মিলিতভাবে আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ করতে চায় এই দুই ব্যক্তি। এখন এই দুই ব্যক্তির সাথে আরো লোকজন থাকতে পারে আমরা জানিনা। সরকারে দায়িত্ব খুজে বের করা। কিন্তু এই দুই জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাননীয় আদালতে ৫০০, ৫০০৫ ও ১০৯ এই তিন ধারায় আমি মামলা করেছি। তিন ধারার মধ্যে ৫০০ এবং ১০৯ ধারা মাননীয় আদালত নীতিগতবাবে গ্রহণ করেছেন। কিন্তু ৫০৫ ধারায় যেহেতু সরকারে অনুমোদন লাগে এজন্যে তিনি আদেশ প্রদান অপেক্ষমান রেখেছেন।”

মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ১৯ ডিসেম্বর প্রথম আলোর কলাম লেখক এএফএম রাশেদুল হক (মারুফ মল্লিক) তার ফেসবুক আইডি থেকে ‘প্রথম আলো অফিসে হামলায় আমার দেশের জড়িত থাকার সম্ভাবনা’ বিষয়ে পোস্ট দেন। এরপর ওই পোস্ট শেয়ার করেন বিএনপির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক একেএম ওয়াহিদুজ্জামান এপোলো। ঢাকার তেজগাঁও থানাধীন কারওয়ান বাজারে আমার দেশ পত্রিকার প্রধান কার্যালয়ে অবস্থানকালে বাদী (মাহমুদুর রহমান) আসামিদের ফেসবুক পোস্ট দুটি সম্পর্কে জানতে পেরে হতবিহ্বল হয়ে পরেন। আসামিদের এই জঘন্য মিথ্যাচারের কারণে বাদী ও তার দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হওয়ার পাশাপাশি পত্রিকাটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, কলা-কুশলী ও ব্যক্তিদের মানহানির কারণ হয়েছে এবং তাদের ব্যাপারে জনমনে শত্রুতা, ঘৃণা, অসন্তোষ ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করেছে।