১২:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

জাবিতে প্রক্সি দিতে গিয়ে ঢাবি শিক্ষার্থী আটক, ১৫ দিনের কারাদণ্ড

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক সম্মান প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে আটক হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী। এতে ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রক্সি দিতে আসা শিক্ষার্থী ও ভর্তি পরীক্ষা প্রার্থী উভয়কেই ১৫ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ‘বি’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সির ঘটনা ঘটেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রক্সি দিতে আসা ওই শিক্ষার্থীর নাম মো: ইহমানুল হক জিসান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ সেশনের উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী এবং শহীদ জহুরুল হক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তার বাবার নাম মো: দেলোয়ার হোসেন ও মাতার এমিলি বেগম। তার গ্রামের বাসা বগুড়ার আশোকোলায়।

রাফি হোসেন সাজিত নামে এক ভর্তিচ্ছুর পরিবর্তে জিসান প্রক্সি দিতে আসে। রাফির বাবার নাম রাজু হোসেন, মাতার নাম রত্না বেগম। তার গ্রামের বাসা পলাশপাড়া, গাইবান্ধা।

তাদের অপরাধের মাত্রা আমলে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত উভয়কে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। পরে তাদেরকে আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, ‘ভর্তিচ্ছুর ছবি পরিবর্তন করে তার পরবর্তে অন্য আরেকজন ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিলে পরীক্ষা পরিদর্শক তা শনাক্ত করেন। পরে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে পরীক্ষায় প্রক্সির বিষয়টি নিশ্চিত হয় কর্তৃপক্ষ। ফলে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ব্লক করে দেয়া হয়। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের উভয়কে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন।’

জনপ্রিয়

সাংবাদিক ঐক্য ফেডারেশন, টাঙ্গাইল-এর উদ্যোগে বনভোজন ও পরিচিতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

জাবিতে প্রক্সি দিতে গিয়ে ঢাবি শিক্ষার্থী আটক, ১৫ দিনের কারাদণ্ড

প্রকাশের সময় : ০৭:২৬:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক সম্মান প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে আটক হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী। এতে ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রক্সি দিতে আসা শিক্ষার্থী ও ভর্তি পরীক্ষা প্রার্থী উভয়কেই ১৫ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ‘বি’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সির ঘটনা ঘটেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রক্সি দিতে আসা ওই শিক্ষার্থীর নাম মো: ইহমানুল হক জিসান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ সেশনের উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী এবং শহীদ জহুরুল হক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তার বাবার নাম মো: দেলোয়ার হোসেন ও মাতার এমিলি বেগম। তার গ্রামের বাসা বগুড়ার আশোকোলায়।

রাফি হোসেন সাজিত নামে এক ভর্তিচ্ছুর পরিবর্তে জিসান প্রক্সি দিতে আসে। রাফির বাবার নাম রাজু হোসেন, মাতার নাম রত্না বেগম। তার গ্রামের বাসা পলাশপাড়া, গাইবান্ধা।

তাদের অপরাধের মাত্রা আমলে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত উভয়কে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। পরে তাদেরকে আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, ‘ভর্তিচ্ছুর ছবি পরিবর্তন করে তার পরবর্তে অন্য আরেকজন ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিলে পরীক্ষা পরিদর্শক তা শনাক্ত করেন। পরে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে পরীক্ষায় প্রক্সির বিষয়টি নিশ্চিত হয় কর্তৃপক্ষ। ফলে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ব্লক করে দেয়া হয়। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের উভয়কে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন।’