১০:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

পায়রা সেতুতে ভাইরাল ভিডিওর নামে দায়িত্বহীনতা: বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি!

ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে অবস্থিত দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ স্থাপনা লেবুখালী পায়রা সেতু। এই সেতুর উপর সম্প্রতি এক নাম না জানা নারীকে নিয়মিতভাবে চলাচলরত বাস ও অন্যান্য যানবাহন থামিয়ে চিপস বিতরণের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে, যা ভিডিও করে “JKT Bus Lover” নামে একটি ফেসবুক পেইজে আপলোড করা হচ্ছে। এসব ভিডিওতে লক্ষাধিক ভিউ ছাড়িয়ে গেছে।

প্রথম দেখায় বিষয়টি বিনোদনমূলক মনে হলেও বাস্তবে এটি একটি গুরুতর ট্রাফিক ও নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের ঘটনা। ব্রিজের ওপর থেমে যাওয়া, যাত্রী পরিবহণে বাধা সৃষ্টি, এবং যেকোনো সময় ঘটতে পারে মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনা।

ভিডিওতে দেখা যায়, ঐ নারী গাড়ি থামিয়ে ড্রাইভারকে চিপস দিচ্ছেন, আবার কেউ কেউ গাড়ি না থামিয়ে চলে যাচ্ছেন। এই আচরণ শুধু তার নিজের জন্য নয়, বরং রাস্তা ব্যবহারকারী অন্য সব যাত্রীর জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ।

আইন কী বলে?
ব্রিজ ও মহাসড়কে যান চলাচলে কোনোভাবেই থামানো, বাধা প্রদান, কিংবা ভিডিও ধারণের জন্য ব্যক্তিগত কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এর আগে পদ্মা সেতুতে ছবি তোলার কারণে বহু যাত্রী ও মোটরসাইকেল আরোহীর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন: “এই ধরণের দায়িত্বহীন আচরণ প্রচারিত হলে, মানুষ এটাকে স্বাভাবিক ভাবতে শুরু করে। ফলাফল হয়—দুর্ঘটনা, আইন ভঙ্গ এবং প্রাণহানি।”

প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ
এই ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দা ও সচেতন নাগরিকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, ব্রিজের মত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কীভাবে কোনো পর্যবেক্ষণ ছাড়াই এমন ভিডিও বারবার ধারণ ও প্রকাশ হচ্ছে?

প্রশাসনের প্রতি আহ্বান, দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে এই ধরণের কর্মকাণ্ড রোধ করতে হবে এবং জনসচেতনতা বাড়াতে হবে—মহাসড়ক মজা করার জায়গা নয়, এটা জীবন বাঁচানোর পথ।

জনপ্রিয়

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে কাজ করতে হবে: আতাউর রহমান সম্ভু

পায়রা সেতুতে ভাইরাল ভিডিওর নামে দায়িত্বহীনতা: বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি!

প্রকাশের সময় : ০৪:১৬:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে অবস্থিত দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ স্থাপনা লেবুখালী পায়রা সেতু। এই সেতুর উপর সম্প্রতি এক নাম না জানা নারীকে নিয়মিতভাবে চলাচলরত বাস ও অন্যান্য যানবাহন থামিয়ে চিপস বিতরণের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে, যা ভিডিও করে “JKT Bus Lover” নামে একটি ফেসবুক পেইজে আপলোড করা হচ্ছে। এসব ভিডিওতে লক্ষাধিক ভিউ ছাড়িয়ে গেছে।

প্রথম দেখায় বিষয়টি বিনোদনমূলক মনে হলেও বাস্তবে এটি একটি গুরুতর ট্রাফিক ও নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের ঘটনা। ব্রিজের ওপর থেমে যাওয়া, যাত্রী পরিবহণে বাধা সৃষ্টি, এবং যেকোনো সময় ঘটতে পারে মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনা।

ভিডিওতে দেখা যায়, ঐ নারী গাড়ি থামিয়ে ড্রাইভারকে চিপস দিচ্ছেন, আবার কেউ কেউ গাড়ি না থামিয়ে চলে যাচ্ছেন। এই আচরণ শুধু তার নিজের জন্য নয়, বরং রাস্তা ব্যবহারকারী অন্য সব যাত্রীর জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ।

আইন কী বলে?
ব্রিজ ও মহাসড়কে যান চলাচলে কোনোভাবেই থামানো, বাধা প্রদান, কিংবা ভিডিও ধারণের জন্য ব্যক্তিগত কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এর আগে পদ্মা সেতুতে ছবি তোলার কারণে বহু যাত্রী ও মোটরসাইকেল আরোহীর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন: “এই ধরণের দায়িত্বহীন আচরণ প্রচারিত হলে, মানুষ এটাকে স্বাভাবিক ভাবতে শুরু করে। ফলাফল হয়—দুর্ঘটনা, আইন ভঙ্গ এবং প্রাণহানি।”

প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ
এই ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দা ও সচেতন নাগরিকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, ব্রিজের মত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কীভাবে কোনো পর্যবেক্ষণ ছাড়াই এমন ভিডিও বারবার ধারণ ও প্রকাশ হচ্ছে?

প্রশাসনের প্রতি আহ্বান, দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে এই ধরণের কর্মকাণ্ড রোধ করতে হবে এবং জনসচেতনতা বাড়াতে হবে—মহাসড়ক মজা করার জায়গা নয়, এটা জীবন বাঁচানোর পথ।