০৬:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে বরগুনায় রাজনৈতিক উত্তাপ

বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় জেলা বরগুনা এখন জাতীয় রাজনীতির অন্যতম আলোচিত এলাকায় পরিণত হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত এই জেলাটি যেমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ, তেমনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিকভাবেও দারুণভাবে প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে।

৫ আগস্ট ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বরগুনার দুই আসন—বরগুনা-১ (সদর, আমতলী, তালতলী) এবং বরগুনা-২ (পাথরঘাটা, বামনা, বেতাগী)—এ এখন বিরোধী দলগুলোর দখল নেওয়ার লড়াই চলছে। দীর্ঘদিনের ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব কমে আসায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (আইএবি) এখানে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে নেমেছে।

বরগুনা-১ আসনে বিএনপির পাঁচ নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে সক্রিয়ভাবে প্রচারণা চালাচ্ছেন—নজরুল ইসলাম মোল্লা, ফিরোজ-উজ-জামান মামুন, হুমায়ুন হাসান শাহীন, ফজলুল হক মাস্টার এবং রেজবুল কবির। অপরদিকে জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা মহিবুল্লাহ হারুন এবং আইএবির মাওলানা মাহমুদুল হোসেনও ব্যাপক জনসংযোগ করছেন।

অন্যদিকে বরগুনা-২ আসনে বিএনপির হেভিওয়েট নেতা আলহাজ নুরুল ইসলাম মনি ফের প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন যুবদল নেতা মনিরুজ্জামান মনির, মাওলানা শামীম ও অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল হারুনুর রশিদ খান। জামায়াত এখানে প্রার্থী করেছে ড. সুলতান আহমেদকে, আর আইএবি মনোনয়ন দিয়েছে মুফতি মিজানুর রহমান কাসেমীকে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আওয়ামী লীগের দুর্নীতি, প্রভাবশালী নেতাদের অপব্যবহার ও ঘনঘন ঘূর্ণিঝড়ের পর উন্নয়ন ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতা বরগুনার ভোটারদের মনোভাব বদলে দিয়েছে। মানুষ এখন “সৎ ও জনগণের পাশে থাকা” নেতৃত্ব চায়।

একজন শিক্ষক বলেন, “এবার ভোট দেব এমন কাউকে, যে ঝড়ের সময় পাশে থাকবে—মাত্র নির্বাচনের সময় নয়।”

সামুদ্রিক সম্পদ, মৎস্য অর্থনীতি ও পর্যটন সম্ভাবনায় সমৃদ্ধ বরগুনা এখন কেবল উপকূলীয় নয়, বরং জাতীয় রাজনীতিরও ‘হটস্পট’। পরিবর্তনের জোয়ারে কোন দল শেষ পর্যন্ত নেতৃত্ব পায়—তা এখন সময়ের অপেক্ষা।

জনপ্রিয়

শিবচরে লকডাউনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত বহু বিএনপি নেতা-কর্মী

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে বরগুনায় রাজনৈতিক উত্তাপ

প্রকাশের সময় : ০১:২৫:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় জেলা বরগুনা এখন জাতীয় রাজনীতির অন্যতম আলোচিত এলাকায় পরিণত হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত এই জেলাটি যেমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ, তেমনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিকভাবেও দারুণভাবে প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে।

৫ আগস্ট ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বরগুনার দুই আসন—বরগুনা-১ (সদর, আমতলী, তালতলী) এবং বরগুনা-২ (পাথরঘাটা, বামনা, বেতাগী)—এ এখন বিরোধী দলগুলোর দখল নেওয়ার লড়াই চলছে। দীর্ঘদিনের ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব কমে আসায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (আইএবি) এখানে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে নেমেছে।

বরগুনা-১ আসনে বিএনপির পাঁচ নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে সক্রিয়ভাবে প্রচারণা চালাচ্ছেন—নজরুল ইসলাম মোল্লা, ফিরোজ-উজ-জামান মামুন, হুমায়ুন হাসান শাহীন, ফজলুল হক মাস্টার এবং রেজবুল কবির। অপরদিকে জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা মহিবুল্লাহ হারুন এবং আইএবির মাওলানা মাহমুদুল হোসেনও ব্যাপক জনসংযোগ করছেন।

অন্যদিকে বরগুনা-২ আসনে বিএনপির হেভিওয়েট নেতা আলহাজ নুরুল ইসলাম মনি ফের প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন যুবদল নেতা মনিরুজ্জামান মনির, মাওলানা শামীম ও অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল হারুনুর রশিদ খান। জামায়াত এখানে প্রার্থী করেছে ড. সুলতান আহমেদকে, আর আইএবি মনোনয়ন দিয়েছে মুফতি মিজানুর রহমান কাসেমীকে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আওয়ামী লীগের দুর্নীতি, প্রভাবশালী নেতাদের অপব্যবহার ও ঘনঘন ঘূর্ণিঝড়ের পর উন্নয়ন ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতা বরগুনার ভোটারদের মনোভাব বদলে দিয়েছে। মানুষ এখন “সৎ ও জনগণের পাশে থাকা” নেতৃত্ব চায়।

একজন শিক্ষক বলেন, “এবার ভোট দেব এমন কাউকে, যে ঝড়ের সময় পাশে থাকবে—মাত্র নির্বাচনের সময় নয়।”

সামুদ্রিক সম্পদ, মৎস্য অর্থনীতি ও পর্যটন সম্ভাবনায় সমৃদ্ধ বরগুনা এখন কেবল উপকূলীয় নয়, বরং জাতীয় রাজনীতিরও ‘হটস্পট’। পরিবর্তনের জোয়ারে কোন দল শেষ পর্যন্ত নেতৃত্ব পায়—তা এখন সময়ের অপেক্ষা।