০৯:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

বাবাকে নিয়ে মিথ্যাচারে ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ মির্জা ফখরুলের

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার বাবাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলমান মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তিকর প্রচারণার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

রবিবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, আমি গত দুদিন ধরে ঠাকুরগাঁও এ আছি! কিছু কথা বলা খুব জরুরি আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ, তরুণ প্রজন্মের জন্য ! এসব কথা বলার কখনো প্রয়োজন মনে করি নি! জীবনের এই প্রান্তে দাড়িয়ে যখন দেখি সমাজে কিছু মানুষ নিজেদের স্বার্থে মিথ্যার চাষ করছে, তখন বলা আরও জরুরী!

আমার আব্বা মরহুম মির্জা রুহুল আমিন ১৯৭১ এ মার্চ এর ২৭ তারিখে আমার নানাবাড়ি যান আমার দুই ছোট ভাই আর দুই বোন এবং মাকে নিয়ে। তারপর এপ্রিল এ চলে যান ভারতের ইসলামপুরে! রিফিউজি ক্যাম্প এ ছিলেন যুদ্ধের প্রায় পুরোটা সময়! ৩ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁও স্বাধীন হয়! আমার বাবা ঠাকুরগাঁও ফিরে আসেন তখনই! যখন ফিরে আসেন, দেখেন সব লুট হয়ে গেছে ! আমার মরহুম মা তাঁর গয়না বিক্রি করেন! আমি যোগ দেই অর্থনীতি শিক্ষকতায় ! প্রথম বেতন তুলে দেই আম্মার হাতে !
আল্লাহর রহমতে জীবন চলে যায় ! ১৯৭১ এর পরে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ এভাবেই ধ্বংসস্তূপ থেকে তৈরি করেছে জীবন!

গত ৫৪ বছরে আমার বাবার নামে কোথাও কোনও মামলা হয় নি! ঠাকুরগাঁও জেলার যা কিছু আধুনিক এর শুরু আমার বাবার হাতে! এই জেলার প্রতিটি সৎ মানুষ জানে আমার বাবার কথা!আমার বাবা মারা যাবার পরে তার স্মৃতি রক্ষার জন্য নিয়ে যে ফাউন্ডেশন হয়, তার নেতৃত্বে ছিলেন ঠাকুরগাঁও এর সকল নামকরা রাজনীতিবিদ! ১৯৯৭ এ তার মৃত্যুতে সরকারি শোক প্রকাশ করা হয়!

আমার বাবা সম্বন্ধে মিথ্যাচার শুরু হয় গত আওয়ামী রেজিমএ এবং দুঃখজনক ভাবে, গত এক বছর ধরে একটি গোষ্ঠী যারা নিজেদের জুলাই এর আন্দোলনের অংশীদার মনে করে, তারাও এই মিথ্যাচারে অংশ নিচ্ছে! মিথ্যা, গুজব ও অপবাদ সমাজ ধ্বংস করে।

আমি আমার সারাজীবন এ দেশ আর জাতির জন্য দিয়েছি! গত বছর জুলাই এ আমাদের ছেলেমেয়েরা বাংলাদেশকে আশা দেখিয়েছে! আমি আশা করব নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশে মিথ্যার চাষ আমাদের ছেলে মেয়েরা করবে না! এরা সত্যের পথে থাকবে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে মেধা, বুদ্ধিমত্তা, সততা আর পলিসি দিয়ে! শঠতা আর মিথ্যা দিয়ে পপুলিজম কেনা যায়, কিন্তু দেশ গড়া যায় না! আসুন আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা, দেশপ্রেম আর নতুন প্রজন্মের সাহস আর দেশপ্রেম দিয়ে তৈরি করি একটি মর্যাদাপূর্ণ সৎ মানবিক বাংলাদেশ!

“হে মুমিনগণ, তোমরা অধিক অনুমান থেকে দূরে থাক। নিশ্চয় কোন কোন অনুমান তো পাপ।(আল-হুজুরাত)”

জনপ্রিয়

লকডাউন সফল করো’ স্লোগানে বান্দরবানের লামায় নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের মিছিল, আটক ১

বাবাকে নিয়ে মিথ্যাচারে ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ মির্জা ফখরুলের

প্রকাশের সময় : ০৫:৫৪:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার বাবাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলমান মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তিকর প্রচারণার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

রবিবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, আমি গত দুদিন ধরে ঠাকুরগাঁও এ আছি! কিছু কথা বলা খুব জরুরি আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ, তরুণ প্রজন্মের জন্য ! এসব কথা বলার কখনো প্রয়োজন মনে করি নি! জীবনের এই প্রান্তে দাড়িয়ে যখন দেখি সমাজে কিছু মানুষ নিজেদের স্বার্থে মিথ্যার চাষ করছে, তখন বলা আরও জরুরী!

আমার আব্বা মরহুম মির্জা রুহুল আমিন ১৯৭১ এ মার্চ এর ২৭ তারিখে আমার নানাবাড়ি যান আমার দুই ছোট ভাই আর দুই বোন এবং মাকে নিয়ে। তারপর এপ্রিল এ চলে যান ভারতের ইসলামপুরে! রিফিউজি ক্যাম্প এ ছিলেন যুদ্ধের প্রায় পুরোটা সময়! ৩ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁও স্বাধীন হয়! আমার বাবা ঠাকুরগাঁও ফিরে আসেন তখনই! যখন ফিরে আসেন, দেখেন সব লুট হয়ে গেছে ! আমার মরহুম মা তাঁর গয়না বিক্রি করেন! আমি যোগ দেই অর্থনীতি শিক্ষকতায় ! প্রথম বেতন তুলে দেই আম্মার হাতে !
আল্লাহর রহমতে জীবন চলে যায় ! ১৯৭১ এর পরে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ এভাবেই ধ্বংসস্তূপ থেকে তৈরি করেছে জীবন!

গত ৫৪ বছরে আমার বাবার নামে কোথাও কোনও মামলা হয় নি! ঠাকুরগাঁও জেলার যা কিছু আধুনিক এর শুরু আমার বাবার হাতে! এই জেলার প্রতিটি সৎ মানুষ জানে আমার বাবার কথা!আমার বাবা মারা যাবার পরে তার স্মৃতি রক্ষার জন্য নিয়ে যে ফাউন্ডেশন হয়, তার নেতৃত্বে ছিলেন ঠাকুরগাঁও এর সকল নামকরা রাজনীতিবিদ! ১৯৯৭ এ তার মৃত্যুতে সরকারি শোক প্রকাশ করা হয়!

আমার বাবা সম্বন্ধে মিথ্যাচার শুরু হয় গত আওয়ামী রেজিমএ এবং দুঃখজনক ভাবে, গত এক বছর ধরে একটি গোষ্ঠী যারা নিজেদের জুলাই এর আন্দোলনের অংশীদার মনে করে, তারাও এই মিথ্যাচারে অংশ নিচ্ছে! মিথ্যা, গুজব ও অপবাদ সমাজ ধ্বংস করে।

আমি আমার সারাজীবন এ দেশ আর জাতির জন্য দিয়েছি! গত বছর জুলাই এ আমাদের ছেলেমেয়েরা বাংলাদেশকে আশা দেখিয়েছে! আমি আশা করব নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশে মিথ্যার চাষ আমাদের ছেলে মেয়েরা করবে না! এরা সত্যের পথে থাকবে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে মেধা, বুদ্ধিমত্তা, সততা আর পলিসি দিয়ে! শঠতা আর মিথ্যা দিয়ে পপুলিজম কেনা যায়, কিন্তু দেশ গড়া যায় না! আসুন আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা, দেশপ্রেম আর নতুন প্রজন্মের সাহস আর দেশপ্রেম দিয়ে তৈরি করি একটি মর্যাদাপূর্ণ সৎ মানবিক বাংলাদেশ!

“হে মুমিনগণ, তোমরা অধিক অনুমান থেকে দূরে থাক। নিশ্চয় কোন কোন অনুমান তো পাপ।(আল-হুজুরাত)”