০৩:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

শেরপুরে মসজিদে নেশাগ্রস্তদের হামলা ও ভাংচুর: ইমামসহ মুসল্লি আহত, থানায় অভিযোগ

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় একটি মসজিদে ঢুকে ইমাম ও মুসল্লিদের ওপর হামলা চালিয়ে মাইক সেটসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাংচুর করেছে একদল নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি। এ ঘটনায় ইমামসহ দুই মুসল্লি আহত হয়েছেন। রবিবার (২নভেম্বর) সকালে মসজিদ কমিটির সভাপতি আশরাফ আলী বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

এর আগে শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বারোমারী বাজার এলাকার উত্তর বাতকুচি ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন গ্রামের বাইতুল নূর জামে মসজিদে এই ঘটনাটি ঘটে।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উত্তর বাতকুচি গ্রামের জহুর উদ্দিনের তিন ছেলে—ফরহাদ মিয়া, রুবেল মিয়া ও ফারুক মিয়া—নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করে ইমাম শফিকুল ইসলামের উদ্দেশ্যে বলেন, “আজ থেকে এই মসজিদে আর আযান দেওয়া যাবে না, আমাদের অনুমতি ছাড়া আযান হবে না।”

ইমাম শফিকুল ইসলাম এ অযৌক্তিক কথার প্রতিবাদ করলে তারা তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। পরে আত্মরক্ষার্থে ইমাম পালিয়ে গেলে ওই তিনজন মসজিদের ভেতরে ঢুকে মাইক সেট, বৈদ্যুতিক বোর্ড, টিনের বেড়া ও অন্যান্য জিনিসপত্র ভাংচুর করে।

এ সময় মুসল্লি হাবিবুর রহমান ও কাজল মিয়া হামলাকারীদের বাধা দিতে গেলে তারাও নেশাগ্রস্তদের মারধরের শিকার হন। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. আশরাফ আলী বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। এরপর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমরা এই জঘন্য ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।”

এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল রানা বলেন, “মসজিদে ঢুকে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

জনপ্রিয়

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে কাজ করতে হবে: আতাউর রহমান সম্ভু

শেরপুরে মসজিদে নেশাগ্রস্তদের হামলা ও ভাংচুর: ইমামসহ মুসল্লি আহত, থানায় অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ০৯:৫২:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় একটি মসজিদে ঢুকে ইমাম ও মুসল্লিদের ওপর হামলা চালিয়ে মাইক সেটসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাংচুর করেছে একদল নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি। এ ঘটনায় ইমামসহ দুই মুসল্লি আহত হয়েছেন। রবিবার (২নভেম্বর) সকালে মসজিদ কমিটির সভাপতি আশরাফ আলী বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

এর আগে শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বারোমারী বাজার এলাকার উত্তর বাতকুচি ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন গ্রামের বাইতুল নূর জামে মসজিদে এই ঘটনাটি ঘটে।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উত্তর বাতকুচি গ্রামের জহুর উদ্দিনের তিন ছেলে—ফরহাদ মিয়া, রুবেল মিয়া ও ফারুক মিয়া—নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করে ইমাম শফিকুল ইসলামের উদ্দেশ্যে বলেন, “আজ থেকে এই মসজিদে আর আযান দেওয়া যাবে না, আমাদের অনুমতি ছাড়া আযান হবে না।”

ইমাম শফিকুল ইসলাম এ অযৌক্তিক কথার প্রতিবাদ করলে তারা তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। পরে আত্মরক্ষার্থে ইমাম পালিয়ে গেলে ওই তিনজন মসজিদের ভেতরে ঢুকে মাইক সেট, বৈদ্যুতিক বোর্ড, টিনের বেড়া ও অন্যান্য জিনিসপত্র ভাংচুর করে।

এ সময় মুসল্লি হাবিবুর রহমান ও কাজল মিয়া হামলাকারীদের বাধা দিতে গেলে তারাও নেশাগ্রস্তদের মারধরের শিকার হন। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. আশরাফ আলী বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। এরপর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমরা এই জঘন্য ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।”

এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল রানা বলেন, “মসজিদে ঢুকে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”