০৬:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

নড়াইলের লোহাগড়ায় আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

  • এবিএন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৬:০২:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
  • 45

নড়াইলের লোহাগড়া থানায় সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে লোহাগড়া থানা পুলিশের উদ্যোগে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নড়াইল জেলার পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার বলেন, ” বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুশিক্ষিত ও নৈতিকতার পথে এগিয়ে নিতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “কোনো মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুলিশকে হয়রানি করবেন না। পুলিশ জনগণের বন্ধু—ভয় বা দালাল ছাড়াই পুলিশি সেবা গ্রহণ করুন। আমরা আপনাদের পাশে আছি এবং থাকব।”

এ সময় তিনি মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সাইবার ক্রাইম, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিংসহ বিভিন্ন সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেন।
এসপি রবিউল ইসলাম জানান, নড়াইল জেলা পুলিশ ইতোমধ্যে দুটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার ও ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করেছে। অপরাধী যতই আড়ালে অপরাধ করুক না কেন, আইনের চোখে সবই দৃশ্যমান—অপরাধ করলে কেউ পার পাবে না।

সভায় পুলিশ সুপার সকলকে নিচের বিষয়গুলো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানঃ
১. আধিপত্য বিস্তার
২. গ্রাম্য কাইজ্যা
৩. দলীয় গ্রুপিং
৪. সামাজিক ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
৫. মাদক
৬. জুয়া
৭. ইভটিজিং
৮. মানব পাচার
৯. নারী নির্যাতন ও বহুবিবাহ
১০. সামাজিক অবক্ষয়
১১. কিশোর অপরাধ ও দলবদ্ধ হয়ে আইন লঙ্ঘন
১২. বাল্যবিবাহ

তিনি আরও বলেন, “ধর্মীয় উস্কানি, অপপ্রচার বা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কেউ যেন নির্যাতিত হয়ে বাসস্থান ত্যাগে বাধ্য না হয়, সে বিষয়ে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কেউ এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

শেষে তিনি বলেন, “থানা হচ্ছে জনগণের আস্থার আশ্রয়স্থল। থানার উপর আস্থা রাখুন এবং নির্ভয়ে পুলিশি সেবা গ্রহণ করুন।”

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মো. রকিবুল হাসান, বিপিএম (সেবা), পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নড়াইল; মো. শরিফুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ, লোহাগড়া থানা; অজিত কুমার রায়, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত), লোহাগড়া থানা; স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ নড়াইল জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যবৃন্দ।

জনপ্রিয়

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে কাজ করতে হবে: আতাউর রহমান সম্ভু

নড়াইলের লোহাগড়ায় আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশের সময় : ০৬:০২:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

নড়াইলের লোহাগড়া থানায় সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে লোহাগড়া থানা পুলিশের উদ্যোগে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নড়াইল জেলার পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার বলেন, ” বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুশিক্ষিত ও নৈতিকতার পথে এগিয়ে নিতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “কোনো মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুলিশকে হয়রানি করবেন না। পুলিশ জনগণের বন্ধু—ভয় বা দালাল ছাড়াই পুলিশি সেবা গ্রহণ করুন। আমরা আপনাদের পাশে আছি এবং থাকব।”

এ সময় তিনি মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সাইবার ক্রাইম, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিংসহ বিভিন্ন সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেন।
এসপি রবিউল ইসলাম জানান, নড়াইল জেলা পুলিশ ইতোমধ্যে দুটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার ও ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করেছে। অপরাধী যতই আড়ালে অপরাধ করুক না কেন, আইনের চোখে সবই দৃশ্যমান—অপরাধ করলে কেউ পার পাবে না।

সভায় পুলিশ সুপার সকলকে নিচের বিষয়গুলো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানঃ
১. আধিপত্য বিস্তার
২. গ্রাম্য কাইজ্যা
৩. দলীয় গ্রুপিং
৪. সামাজিক ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
৫. মাদক
৬. জুয়া
৭. ইভটিজিং
৮. মানব পাচার
৯. নারী নির্যাতন ও বহুবিবাহ
১০. সামাজিক অবক্ষয়
১১. কিশোর অপরাধ ও দলবদ্ধ হয়ে আইন লঙ্ঘন
১২. বাল্যবিবাহ

তিনি আরও বলেন, “ধর্মীয় উস্কানি, অপপ্রচার বা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কেউ যেন নির্যাতিত হয়ে বাসস্থান ত্যাগে বাধ্য না হয়, সে বিষয়ে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কেউ এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

শেষে তিনি বলেন, “থানা হচ্ছে জনগণের আস্থার আশ্রয়স্থল। থানার উপর আস্থা রাখুন এবং নির্ভয়ে পুলিশি সেবা গ্রহণ করুন।”

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মো. রকিবুল হাসান, বিপিএম (সেবা), পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নড়াইল; মো. শরিফুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ, লোহাগড়া থানা; অজিত কুমার রায়, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত), লোহাগড়া থানা; স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ নড়াইল জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যবৃন্দ।