১০:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫

পাকিস্তান–আফগানিস্তানের ২০ কোটি ডলারের ওষুধ বাণিজ্য হুমকিতে

পাকিস্তান–আফগানিস্তান সীমান্ত বন্ধের জেরে ২০ কোটি ডলারের ওষুধ বাণিজ্য হুমকির মুখে পড়েছে। সীমান্তে জট তৈরি হওয়ায় শত শত ট্রাক আটকা পড়ে আছে, ফলে জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। সংবাদ সংস্থা খামা প্রেসের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সীমান্ত পারাপার বন্ধ থাকায় পাকিস্তানের প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলারের ওষুধ রপ্তানি কার্যত থমকে গেছে। এতে দুই দেশের বাণিজ্য প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে।

অ্যান্টিবায়োটিক, ইনসুলিন, টিকা, হৃদরোগের ওষুধসহ নানা জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী বহনকারী শত শত ট্রাক বিভিন্ন ড্রাইপোর্ট ও গুদামে, পাশাপাশি তোরখাম ও চামান সীমান্তে আটকে আছে।

কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, সরবরাহে দীর্ঘ বিলম্ব হলে এসব ওষুধ নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি এবং বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হবে।
সীমান্তে বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যেই এই জটিলতা তৈরি হয়েছে।

সর্বশেষ পাক বাহিনীর গোলাগুলির ঘটনায় আফগানিস্তানে চারজন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও ছিল। গোলাগুলির পর ওই এলাকার কয়েকটি পরিবার নিরাপত্তার কারণে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।

এর আগে আফগান কর্তৃপক্ষ পাকিস্তান থেকে আমদানি করা কিছু ওষুধের মান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে, এবং দাবি করে যে তাদের দেশে নিম্নমানের ওষুধ পাঠানো হচ্ছে। এ কারণে তারা উজবেকিস্তান ও ইরানের সঙ্গে বিকল্প উৎস নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে।

পাকিস্তানের ফার্মাসিউটিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানিয়ে বলেছে, সীমান্ত দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলে বাণিজ্য তো ব্যাহত হবেই, আফগানিস্তানের জনস্বাস্থ্যও ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।

বিশ্লেষকেরা সতর্ক করে বলেছেন, ওষুধ সরবরাহ ব্যাহত হওয়া ও সীমান্তে বাড়তি সহিংসতার মিলিত প্রভাব মানবিক সংকটকে আরও তীব্র করতে পারে। বিশেষত সেই লক্ষাধিক মানুষের জন্য যারা চিকিৎসাক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল।

সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যেও মানবিক পরিস্থিতিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ওপর জোর দিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অবিলম্বে নিরাপদভাবে বাণিজ্য পথ খুলে দেওয়া, জরুরি ওষুধ দ্রুত সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং সীমান্ত নিরাপত্তা স্থিতিশীল করা এখন সময়ের দাবি।

 

জনপ্রিয়

সাংবাদিক ঐক্য ফেডারেশন, টাঙ্গাইল-এর উদ্যোগে বনভোজন ও পরিচিতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

পাকিস্তান–আফগানিস্তানের ২০ কোটি ডলারের ওষুধ বাণিজ্য হুমকিতে

প্রকাশের সময় : ০১:২৩:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫

পাকিস্তান–আফগানিস্তান সীমান্ত বন্ধের জেরে ২০ কোটি ডলারের ওষুধ বাণিজ্য হুমকির মুখে পড়েছে। সীমান্তে জট তৈরি হওয়ায় শত শত ট্রাক আটকা পড়ে আছে, ফলে জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। সংবাদ সংস্থা খামা প্রেসের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সীমান্ত পারাপার বন্ধ থাকায় পাকিস্তানের প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলারের ওষুধ রপ্তানি কার্যত থমকে গেছে। এতে দুই দেশের বাণিজ্য প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে।

অ্যান্টিবায়োটিক, ইনসুলিন, টিকা, হৃদরোগের ওষুধসহ নানা জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী বহনকারী শত শত ট্রাক বিভিন্ন ড্রাইপোর্ট ও গুদামে, পাশাপাশি তোরখাম ও চামান সীমান্তে আটকে আছে।

কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, সরবরাহে দীর্ঘ বিলম্ব হলে এসব ওষুধ নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি এবং বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হবে।
সীমান্তে বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যেই এই জটিলতা তৈরি হয়েছে।

সর্বশেষ পাক বাহিনীর গোলাগুলির ঘটনায় আফগানিস্তানে চারজন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও ছিল। গোলাগুলির পর ওই এলাকার কয়েকটি পরিবার নিরাপত্তার কারণে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।

এর আগে আফগান কর্তৃপক্ষ পাকিস্তান থেকে আমদানি করা কিছু ওষুধের মান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে, এবং দাবি করে যে তাদের দেশে নিম্নমানের ওষুধ পাঠানো হচ্ছে। এ কারণে তারা উজবেকিস্তান ও ইরানের সঙ্গে বিকল্প উৎস নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে।

পাকিস্তানের ফার্মাসিউটিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানিয়ে বলেছে, সীমান্ত দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলে বাণিজ্য তো ব্যাহত হবেই, আফগানিস্তানের জনস্বাস্থ্যও ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।

বিশ্লেষকেরা সতর্ক করে বলেছেন, ওষুধ সরবরাহ ব্যাহত হওয়া ও সীমান্তে বাড়তি সহিংসতার মিলিত প্রভাব মানবিক সংকটকে আরও তীব্র করতে পারে। বিশেষত সেই লক্ষাধিক মানুষের জন্য যারা চিকিৎসাক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল।

সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যেও মানবিক পরিস্থিতিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ওপর জোর দিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অবিলম্বে নিরাপদভাবে বাণিজ্য পথ খুলে দেওয়া, জরুরি ওষুধ দ্রুত সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং সীমান্ত নিরাপত্তা স্থিতিশীল করা এখন সময়ের দাবি।