০৫:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

শেরপুরে মাঠে নেমেছেন ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী বাবার জন্য কন্যা , কন্যার জন্য বাবা…!

শেরপুর জেলার তিনটি নির্বাচনী আসনের মধ্যে দুইটিতেই ধানের শীষ প্রতীকের এমপি প্রার্থী বাবার জন্য কন্যা এবং অন্যদিকে এমপি প্রার্থী কন্যার জন্য বাবা মাঠে নেমেছে।

আসন দুটি হলো শেরপুর-১ (সদর) এবং শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী ঝিনাইগাতী)। এই দুই আসনের মধ্যে শেরপুর-১ আসন থেকে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং আহবায়ক মোঃ হযরত আলীর কন্যা ও জেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা। অপরদিকে শেরপুর-৩ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হয়েছেন বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং তিনবারের এমপি মাহমুদুল হক রুবেল।

এই দুই আসনের প্রার্থীরা মনোনয়ন পাওয়ার আগে থেকেই তাদের নির্বাচনী এলাকায় নানান সেবামূলক কাজ এর পাশাপাশি দলীয় সভা-সমাবেশ, উঠোন বৈঠক এবং গণসংযোগ করে আসছিলো। গত তিন নভেম্বর এরা প্রাথমিকভাবে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে তাদের নিজ নিজ এলাকায় গণসংযোগ এবং নানা সভা-সমাবেশকে আরো গতিশীল করেছে। তবে এসব সভা সমাবেশ ও উঠোন বৈঠকে সাধারণ মানুষের মনে নতুন চমক এনেছে। চমকের মধ্যে শেরপুর-১ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী প্রিয়াঙ্কার সাথে মাঠ-ঘাট দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তার বাবা ও বিএনপি নেতা মোঃ হযরত আলী। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হযরত আলী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন নানা মামলা-হামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হওয়ায় সে বছর তার বদলে বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এমপি প্রার্থী হয়েছিলেন তারই চিকিৎসক কন্যা সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা। যদিও সে ওই বছর তৎকালীন আওয়ামী সরকারের ভোট ডাকাতের কারণে নির্বাচিত হতে পারেনি। তবে ৫ আগস্ট এর পর থেকে প্রিয়াঙ্কা আবারও জোরে সোরে মাঠে নেমেছেন। ইতিমধ্যেই সে শেরপুর সদর আসনের প্রতিটা ইউনিয়ন, গ্রাম ও পৌর এলাকায় গণসংযোগ, উঠোন বৈঠক, নারী সমাবেশ সহ নানা সেবামূলক কাজ করে ব্যাপক আলোচিত হয়ে উঠেছে। কারণ, তার এই প্রতিটা গণসংযোগে বটবৃক্ষের মতো ছায়া হয়ে দাঁড়িয়েছে তার বাবা এবং বর্তমান সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ হযরত আলী।

ডাঃ সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা এমবিবিএস, এমআরসিএস (রয়েল কলেজ অব সার্জনস, যুক্তরাজ্য) এবং জেনারেল সার্জারি বিশেষজ্ঞ।

অপরদিকে শেরপুর-৩ আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী রুবেল এর জনসভা, নারী সমাবেশ ও উঠোন বৈঠকে চমক সৃষ্টি করেছে রুবেলের ব্যারিস্টারি পড়ুয়া কন্যা রুবাইদা হক রিমঝিম। একই সাথে রুবেলের পাশে দাঁড়িয়েছে তার স্ত্রী ফরিদা হক। তারা এখন প্রতিদিন শ্রীবরদী এবং ঝিনাইগাতী উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে নারী সমাবেশ এবং নারীদের নিয়ে উঠোন বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছেন। রুবাইদা হক রিমঝিম বর্তমানে ইউনিভারসিটি অফ লন্ডন এ ব্যারিস্টারি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তবে তার বাবার জন্য তিনি এখন মাঠে নেমেছেন ধানের শীষের প্রতীককে বিজয়ী করতে। রিমঝিম এর আবেগ ঘন বক্তব্যে উপস্থিত নারী এবং পুরুষ সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং শেরপুর-৩ আসনের প্রতিটা সমাবেশে উৎসুক জনতার ভিড় বাড়ছে।

এদিকে শেরপুরের উল্লেখিত দুটি আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হওয়া বাবার পাশে কন্যা এবং কন্যার পাশে বাবার প্রচারণার বিষয়টি জেলার মাঠে-ঘাটে এবং চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সর্বত্র ব্যাপক আলোচনার ঝড় উঠেছে। তাই জেলার রাজনৈতিক ও সচেতনমহল মনে করছে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের মাঠে বেশ প্রভাব পড়বে।

জনপ্রিয়

জাবি অধ্যাপকের ফেসবুক পোস্টে অশ্লীল মন্তব্যকারীর বিচার দাবি জাবি ছাত্রদলের

শেরপুরে মাঠে নেমেছেন ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী বাবার জন্য কন্যা , কন্যার জন্য বাবা…!

প্রকাশের সময় : ০৯:৪২:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

শেরপুর জেলার তিনটি নির্বাচনী আসনের মধ্যে দুইটিতেই ধানের শীষ প্রতীকের এমপি প্রার্থী বাবার জন্য কন্যা এবং অন্যদিকে এমপি প্রার্থী কন্যার জন্য বাবা মাঠে নেমেছে।

আসন দুটি হলো শেরপুর-১ (সদর) এবং শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী ঝিনাইগাতী)। এই দুই আসনের মধ্যে শেরপুর-১ আসন থেকে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং আহবায়ক মোঃ হযরত আলীর কন্যা ও জেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা। অপরদিকে শেরপুর-৩ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হয়েছেন বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং তিনবারের এমপি মাহমুদুল হক রুবেল।

এই দুই আসনের প্রার্থীরা মনোনয়ন পাওয়ার আগে থেকেই তাদের নির্বাচনী এলাকায় নানান সেবামূলক কাজ এর পাশাপাশি দলীয় সভা-সমাবেশ, উঠোন বৈঠক এবং গণসংযোগ করে আসছিলো। গত তিন নভেম্বর এরা প্রাথমিকভাবে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে তাদের নিজ নিজ এলাকায় গণসংযোগ এবং নানা সভা-সমাবেশকে আরো গতিশীল করেছে। তবে এসব সভা সমাবেশ ও উঠোন বৈঠকে সাধারণ মানুষের মনে নতুন চমক এনেছে। চমকের মধ্যে শেরপুর-১ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী প্রিয়াঙ্কার সাথে মাঠ-ঘাট দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তার বাবা ও বিএনপি নেতা মোঃ হযরত আলী। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হযরত আলী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন নানা মামলা-হামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হওয়ায় সে বছর তার বদলে বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এমপি প্রার্থী হয়েছিলেন তারই চিকিৎসক কন্যা সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা। যদিও সে ওই বছর তৎকালীন আওয়ামী সরকারের ভোট ডাকাতের কারণে নির্বাচিত হতে পারেনি। তবে ৫ আগস্ট এর পর থেকে প্রিয়াঙ্কা আবারও জোরে সোরে মাঠে নেমেছেন। ইতিমধ্যেই সে শেরপুর সদর আসনের প্রতিটা ইউনিয়ন, গ্রাম ও পৌর এলাকায় গণসংযোগ, উঠোন বৈঠক, নারী সমাবেশ সহ নানা সেবামূলক কাজ করে ব্যাপক আলোচিত হয়ে উঠেছে। কারণ, তার এই প্রতিটা গণসংযোগে বটবৃক্ষের মতো ছায়া হয়ে দাঁড়িয়েছে তার বাবা এবং বর্তমান সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ হযরত আলী।

ডাঃ সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা এমবিবিএস, এমআরসিএস (রয়েল কলেজ অব সার্জনস, যুক্তরাজ্য) এবং জেনারেল সার্জারি বিশেষজ্ঞ।

অপরদিকে শেরপুর-৩ আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী রুবেল এর জনসভা, নারী সমাবেশ ও উঠোন বৈঠকে চমক সৃষ্টি করেছে রুবেলের ব্যারিস্টারি পড়ুয়া কন্যা রুবাইদা হক রিমঝিম। একই সাথে রুবেলের পাশে দাঁড়িয়েছে তার স্ত্রী ফরিদা হক। তারা এখন প্রতিদিন শ্রীবরদী এবং ঝিনাইগাতী উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে নারী সমাবেশ এবং নারীদের নিয়ে উঠোন বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছেন। রুবাইদা হক রিমঝিম বর্তমানে ইউনিভারসিটি অফ লন্ডন এ ব্যারিস্টারি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তবে তার বাবার জন্য তিনি এখন মাঠে নেমেছেন ধানের শীষের প্রতীককে বিজয়ী করতে। রিমঝিম এর আবেগ ঘন বক্তব্যে উপস্থিত নারী এবং পুরুষ সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং শেরপুর-৩ আসনের প্রতিটা সমাবেশে উৎসুক জনতার ভিড় বাড়ছে।

এদিকে শেরপুরের উল্লেখিত দুটি আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হওয়া বাবার পাশে কন্যা এবং কন্যার পাশে বাবার প্রচারণার বিষয়টি জেলার মাঠে-ঘাটে এবং চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সর্বত্র ব্যাপক আলোচনার ঝড় উঠেছে। তাই জেলার রাজনৈতিক ও সচেতনমহল মনে করছে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের মাঠে বেশ প্রভাব পড়বে।