ঐকমত্যের চ্যাপ্টার ক্লোজড এখন নির্বাচনই একমাত্র পথ বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন,যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে, সনদ সই হয়েছে, চ্যাপ্টার ক্লোজড-লেটস গো টু ইলেকশন। ইলেকশনে গিয়ে জনগণের কাছে ঐক্যমত্যের বিষয়গেুলো নিয়ে যাই। আপনাদের যদি নিজস্ব কোন দাবি দাওয়া থাকে বা কোন প্রোগ্রাম থাকে- আগামী দিনের জন্য দয়া করে জনগণের কাছে যান।
সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইডিইবি) ৫৫তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ‘দক্ষ জনশক্তি-দেশগঠনের মূল ভিত্তি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইডিইবির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক প্রকৌশলী মো. কবীর হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব প্রকৌশলী আশরাফুল আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব প্রকৌশলী কাজী সাখাওয়াত হোসেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইডিইবি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল আজিজ।
আমির খসরু বলেন, ঢাকায় বসে এগুলো নিয়ে ঝগড়াঝাটি করে সময় নষ্ট না করে, অন্যদের কাউকে বাধ্য না করে- আপনি জনগণের কাছে যান, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আসেন। এখানে কারো সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ নেই। আগামী সংসদ কী করবে- সেটা কোনো সরকারও সিদ্ধান্ত দিতে পারবে না, কোনো ঐকমত্য কমিশনও সিদ্ধান্ত দিতে পারবে না, কোনো রাজনৈতিক দলও সিদ্ধান্ত দিতে পারবে না।
তিনি বলেন, জনগণই সিদ্ধান্ত দেবে। সেজন্য প্রয়োজন জনগণের ম্যান্ডেট। তাদের নিয়ে তারপরে সংসদে এসে আপনার দাবি-দাওয়া পূরণ করেন। ঢাকায় আমরা কিছু লোক বসে সেই সিদ্ধান্ত দেয়ার মালিকানা আমাদেরকে কেউ দেয় নাই, সেই দায়িত্ব কাউকে দেয় নাই-এটা একটু মাথায় রেখে গণতান্ত্রিক চর্চার মধ্যে আমাদেরকে আসতে হবে।
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরের বিকল্প নেই। প্রযুক্তির সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জ্ঞানকে সমন্বয় করে জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরে ব্যর্থ হলে জাতীয় উন্নয়নই স্থায়িত্ব পাবে না। বিএনপির সরকার গঠন করতে পারলে গ্রামীণভিত্তিক কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেবে, তখন কাউকে কর্মসংস্থানের জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রামে আসতে হবে না।
বিএনপি সরকার গঠনের এক বছরের মধ্যে এক কোটি লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে উল্লেখ করে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এর জন্য আইটি সেক্টর, কলসেন্টার, নার্সিং, প্রচলিত কুটিরশিল্প আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে এবং সংশ্লিষ্টদের সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া হবে।
যাতে তাদের তৈরি পণ্য ব্র্যান্ডিং পায়।সেবাগ্রহীতাদের সরকারি দপ্তরে ধরনা দেওয়ার অর্থ হলো হয়রানি ও দুর্নীতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সেবার সুযোগ জনগণের নিকট পৌঁছে দেওয়া হবে। এতে অর্থ ও সময়ের অপচয় কমে আসবে।
তিনি বলেন, ঢাকায় বসে নয় জনগণের রায় নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার নীতি গ্রহণ করতে হবে। জনগণের মালিকানা জনগণের নিকট পৌঁছে দেওয়াই বিএনপির মূল লক্ষ্য। বিএনপি ক্ষমতায় এলে কোনো মেগাপ্রকল্প নেওয়া হবে না। জাতীয় বাজেটের ৫ শতাংশ শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় করা হবে।

এবিএন ডেস্ক 




















