০৩:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ বাঁচাতে দরকার সাহসী ও বিশ্বস্ত নেতৃত্ব — তাইফুল ইসলাম টিপু

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহ–দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু বলেছেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হলে সাহসী ও বিশ্বস্ত নেতৃত্বের বিকল্প নেই। দলের অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র ও বাহ্যিক চাপ মোকাবিলায় আগামী দিনে সাহসী নেতৃত্বকে সামনে আনতেই হবে।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ ও পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।তাইফুল ইসলাম টিপু বলেন, “বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে এবং জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে হলে তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। রাজনীতির মঞ্চে তারেক রহমানের বিকল্প কেউ নেই। বিএনপি সরকার গঠন করলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা ও জনগণের মৌলিক অধিকার সবার জন্য নিশ্চিত করা হবে।”

তিনি আরও বলেন, “বেগম খালেদা জিয়ার সরকারের সময় শিক্ষার্থীদের জন্য অবৈতনিক শিক্ষা ও খাদ্যের বিনিময়ে শিক্ষা কর্মসূচি চালু ছিল। কিন্তু পরবর্তী সরকার তা বন্ধ করে দিয়েছে। আবার বিএনপি ক্ষমতায় এলে সেই সকল ব্যবস্থা পুনরায় চালু করা হবে। পাশাপাশি বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা বৃদ্ধি করা হবে এবং শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।”দলের প্রতি নিজের অবিচল আনুগত্যের কথা উল্লেখ করে টিপু বলেন, “গত ৪৩ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতি করছি। শত নির্যাতন, জেল-জুলুম ও ষড়যন্ত্রের মুখেও খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ছেড়ে যাইনি। ২০০১ সালের নির্বাচনে ফজলুর রহমান পটলকে বিজয়ী করতে জীবন বাজি রেখে কাজ করেছি। ওয়ান ইলেভেনের সময় যখন অনেকে খালেদা জিয়ার পাশে ছিলেন না, তখন আমরা রাজপথে ছিলাম।”

তিনি বলেন, “আমরা পালিয়ে যাওয়ার দল করি না। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করে স্বাধীনতা এনেছেন, আর খালেদা জিয়া ফ্যাসিবাদী সরকারের নির্যাতন সহ্য করেও আপস করেননি। আমরা তার আপসহীন কর্মী। আগামী নির্বাচনেও সেই চেতনা নিয়েই মাঠে নামব।”টিপু আরও বলেন, “লালপুর–বাগাতিপাড়ার মাটির প্রতি আমার ভালোবাসা আজীবনের। এখানকার মানুষ আমার শক্তি। আমি এই মাটিতেই রাজনীতি করেছি, এখানেই আমার শেষ বিশ্রাম হবে। এই এলাকার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করতে চাই তারেক রহমানের নেতৃত্বে।”

সভায় উপস্থিত ছিলেন লালপুর উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান সরকার, গোপালপুর পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম রানা, আব্দুলপুর সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ও উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ, ঈশ্বরদী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আমিনুল হক টমি, লালপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এজাজুল হক বাচ্চু, ছাত্র দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান, নাটোর জেলা ছাত্র দলের সহ–সভাপতি এনামুল হক বিদুৎ ও উপজেলা ছাত্র দলের সদস্য সচিব মঞ্জু আহমেদ রয়েলসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

জনপ্রিয়

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে কাজ করতে হবে: আতাউর রহমান সম্ভু

বাংলাদেশ বাঁচাতে দরকার সাহসী ও বিশ্বস্ত নেতৃত্ব — তাইফুল ইসলাম টিপু

প্রকাশের সময় : ০৮:৩০:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহ–দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু বলেছেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হলে সাহসী ও বিশ্বস্ত নেতৃত্বের বিকল্প নেই। দলের অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র ও বাহ্যিক চাপ মোকাবিলায় আগামী দিনে সাহসী নেতৃত্বকে সামনে আনতেই হবে।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ ও পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।তাইফুল ইসলাম টিপু বলেন, “বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে এবং জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে হলে তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। রাজনীতির মঞ্চে তারেক রহমানের বিকল্প কেউ নেই। বিএনপি সরকার গঠন করলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা ও জনগণের মৌলিক অধিকার সবার জন্য নিশ্চিত করা হবে।”

তিনি আরও বলেন, “বেগম খালেদা জিয়ার সরকারের সময় শিক্ষার্থীদের জন্য অবৈতনিক শিক্ষা ও খাদ্যের বিনিময়ে শিক্ষা কর্মসূচি চালু ছিল। কিন্তু পরবর্তী সরকার তা বন্ধ করে দিয়েছে। আবার বিএনপি ক্ষমতায় এলে সেই সকল ব্যবস্থা পুনরায় চালু করা হবে। পাশাপাশি বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা বৃদ্ধি করা হবে এবং শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।”দলের প্রতি নিজের অবিচল আনুগত্যের কথা উল্লেখ করে টিপু বলেন, “গত ৪৩ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতি করছি। শত নির্যাতন, জেল-জুলুম ও ষড়যন্ত্রের মুখেও খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ছেড়ে যাইনি। ২০০১ সালের নির্বাচনে ফজলুর রহমান পটলকে বিজয়ী করতে জীবন বাজি রেখে কাজ করেছি। ওয়ান ইলেভেনের সময় যখন অনেকে খালেদা জিয়ার পাশে ছিলেন না, তখন আমরা রাজপথে ছিলাম।”

তিনি বলেন, “আমরা পালিয়ে যাওয়ার দল করি না। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করে স্বাধীনতা এনেছেন, আর খালেদা জিয়া ফ্যাসিবাদী সরকারের নির্যাতন সহ্য করেও আপস করেননি। আমরা তার আপসহীন কর্মী। আগামী নির্বাচনেও সেই চেতনা নিয়েই মাঠে নামব।”টিপু আরও বলেন, “লালপুর–বাগাতিপাড়ার মাটির প্রতি আমার ভালোবাসা আজীবনের। এখানকার মানুষ আমার শক্তি। আমি এই মাটিতেই রাজনীতি করেছি, এখানেই আমার শেষ বিশ্রাম হবে। এই এলাকার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করতে চাই তারেক রহমানের নেতৃত্বে।”

সভায় উপস্থিত ছিলেন লালপুর উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান সরকার, গোপালপুর পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম রানা, আব্দুলপুর সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ও উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ, ঈশ্বরদী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আমিনুল হক টমি, লালপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এজাজুল হক বাচ্চু, ছাত্র দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান, নাটোর জেলা ছাত্র দলের সহ–সভাপতি এনামুল হক বিদুৎ ও উপজেলা ছাত্র দলের সদস্য সচিব মঞ্জু আহমেদ রয়েলসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।