০৩:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপি নেতার ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা শেরপুর-২ প্রার্থী আবু সুফিয়ানের

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন নবীনগর উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক ও বিএনপি নেতা মফিজুর রহমান মুকুল। বর্তমানে তিনি ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাতে উপজেলা সদরের আদালত সংলগ্ন পদ্মপাড় এলাকায় আকস্মিকভাবে একদল সন্ত্রাসী মুকুলের ওপর গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় স্থানীয়রা দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে দ্রুত ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে পাঠানো হয়।

জেলা বিএনপির সদস্য হযরত আলী জানান, “মুকুল ভাইয়ের অবস্থা ভালো নয়। রাত সোয়া ১টার দিকে তার সিটি স্ক্যানের পর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দেহে তিনটি গুলি লেগে মূত্রথলি, কিডনি ও লাংসে গুরুতর আঘাত লেগেছে। সবাই মুকুল ভাইয়ের দ্রুত আরোগ্যের জন্য দোয়া করুন।”

এদিকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন শেরপুর-২ (নালিতাবাড়ি–নকলা) আসনের (ধানের শীষ) প্রতীক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, শেরপুর জেলা বিএনপির সম্মানিত সদস্য এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ ফয়জুর রহমান।

তিনি এক বিবৃতিতে বলেন,
“এ ধরনের ন্যক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পরিপন্থী। আমরা এই বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। আহত নেতা মফিজুর রহমান মুকুলের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি এবং আল্লাহর কাছে তার জীবন রক্ষার দোয়া করছি।”

এ হামলার ঘটনায় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয় পর্যায়ে রাজনীতিক অঙ্গনে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।

জনপ্রিয়

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে কাজ করতে হবে: আতাউর রহমান সম্ভু

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপি নেতার ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা শেরপুর-২ প্রার্থী আবু সুফিয়ানের

প্রকাশের সময় : ০৮:৩১:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন নবীনগর উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক ও বিএনপি নেতা মফিজুর রহমান মুকুল। বর্তমানে তিনি ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাতে উপজেলা সদরের আদালত সংলগ্ন পদ্মপাড় এলাকায় আকস্মিকভাবে একদল সন্ত্রাসী মুকুলের ওপর গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় স্থানীয়রা দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে দ্রুত ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে পাঠানো হয়।

জেলা বিএনপির সদস্য হযরত আলী জানান, “মুকুল ভাইয়ের অবস্থা ভালো নয়। রাত সোয়া ১টার দিকে তার সিটি স্ক্যানের পর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দেহে তিনটি গুলি লেগে মূত্রথলি, কিডনি ও লাংসে গুরুতর আঘাত লেগেছে। সবাই মুকুল ভাইয়ের দ্রুত আরোগ্যের জন্য দোয়া করুন।”

এদিকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন শেরপুর-২ (নালিতাবাড়ি–নকলা) আসনের (ধানের শীষ) প্রতীক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, শেরপুর জেলা বিএনপির সম্মানিত সদস্য এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ ফয়জুর রহমান।

তিনি এক বিবৃতিতে বলেন,
“এ ধরনের ন্যক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পরিপন্থী। আমরা এই বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। আহত নেতা মফিজুর রহমান মুকুলের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি এবং আল্লাহর কাছে তার জীবন রক্ষার দোয়া করছি।”

এ হামলার ঘটনায় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয় পর্যায়ে রাজনীতিক অঙ্গনে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।