০৯:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
তিস্তা নদীর মহাপরিকল্পনার দাবি

১০৫ কি: মি: জুড়ে মশাল প্রজ্জ্বলনে উত্তাল তিস্তা পাড়ের মানুষ

  • এবিএন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৯:২৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
  • 29

ছবি সংগৃহিত

রংপুরের তিস্তা নদীর মহাপরিকল্পনার কাজ দ্রুত শুরু করার দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে রংপুরের জনপথ।এসময় বিভাগের পাঁচ জেলা- লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার ১১টি পয়েন্টে একযোগে তিস্তা নদীর ১০৫ কিলোমিটার জুড়ে মশাল প্রজ্জ্বলন করে।‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক, সাবেক উপমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, অবিলম্বে মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে রংপুর বিভাগকে অচল ও স্তব্ধ করে দেওয়ার হুমকী দেয়া হয়েছে।‎

[ আরো পড়ুন :তিস্তা নদীর তীরে মশাল মিছিল শেষে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষক নিহত ]

বৃহস্পতিবার(১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলা- লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার ১১টি পয়েন্টে একযোগে তিস্তা নদীর ১০৫ কিলোমিটার জুড়ে মশাল প্রজ্জ্বলন কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এই ঘোষণা দেন সাবেক উপমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু । লক্ষাধিক মানুষের অংশ গ্রহণে এই কর্মসূচি পালিত রাত ৮টার দিকে শেষ হয়।‎ এ সময় উপস্তিত ছিলেন রংপুর বিভাগের তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম হাক্কানী, তিস্তা নদীর রক্ষা আন্দোলনের লালমনিহাট জেলার সমন্বয়ক এ কে এম মমিনুল হক, আফজাল হোসেন, বাসার সুমন, সায়েদুল ইসলাম পাটোয়ারী সাজু, এবিএম ফারু সিদ্দিকী সহ লক্ষাদিক মানুষ।

অধ্যক্ষ দুলু বলেন, তিস্তা নদী শুধু রংপুর বিভাগের নদী নয়, বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণ। তিস্তা পাড়ের মানুষ তিস্তার ন্যায্য অধিকার আদায়ে রাস্তায় নেমেছে। তিস্তা সমস্যা কোনো স্থানীয় ইস্যু নয়, এখন এটি একটি জাতীয় সমস্যা।‎

দীর্ঘ ১৩০ কিলোমিটার প্রবাহিত তিস্তা নদী রক্ষায় গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলন ক্রমশ তীব্র হচেছ। দুলু অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ ষোল বছরের “ফ্যাসিবাদী শাসন” রংপুরের মানুষের বুকে পাথরের মতো চেপে বসে আছে।তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে এবং সরকারের ধীরগতির কারণে জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।

‎আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক সাবেক উপ মন্ত্রী কঠোর ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,তিস্তা মেগা পরিকল্পনার বিপক্ষে যারা দাঁড়াবে, তারা জাতীয় শক্রুতে পরিণত হবেন।তিনি সরকারকে নভেম্বরের মধ্যেই মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু করার অনুরোধ জানান এবং জাতীয় নির্বাচনের তিন মাস আগে এই মেগা প্রকল্পের কাজ শুরুর দাবি জানান।যদি সময়মতো কাজ শুরু না হয়, তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে রংপুর বিভাগ অচল ও স্তব্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন।‎ তিনি সতর্ক করে দেন, এই অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ নেমে আসার আগেই সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হলে ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের মানুষ খাদ্যের জন্য রাজধানী অভিমুখে লংমার্চ করতে বাধ্য হবে।

‎জানা যায়, গত কয়েক মাসে তিস্তার ভাঙ্গন ও চর উত্থানের ফলে লক্ষাধিক মানুষ সরাসরি ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছেন। কৃষি জমি বিলীন হচ্ছে, বাড়িঘর ভাঙছে এবং পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে।দীর্ঘদিনের অবহেলায় তিস্তা নদীর বুকে অসংখ্য চর জেগে উঠেছে যা লাখো মানুষের জীবনে চরম দুর্ভোগ নামিয়ে এনেছে।

এর আগে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের পক্ষ থেকে রংপুর ও লালমনিরহাটে গণমিছিল, গণসমাবেশ, পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। মশাল প্রজ্জ্বলন কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, ছাত্র ও যুব সমাজের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। তাদের স্লোগান ছিলো “জাগো বাহে তিস্তা বাঁচই, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা চাই।”তিস্তা নদীর মহাপরিকল্পনার দাবিতে তিস্তা নদীর ১০৫ কিলোমিটার জুড়ে মশাল প্রজ্জ্বলন করে উত্তাল তিস্তা পাড়ের মানুষ

জনপ্রিয়

লকডাউন সফল করো’ স্লোগানে বান্দরবানের লামায় নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের মিছিল, আটক ১

তিস্তা নদীর মহাপরিকল্পনার দাবি

১০৫ কি: মি: জুড়ে মশাল প্রজ্জ্বলনে উত্তাল তিস্তা পাড়ের মানুষ

প্রকাশের সময় : ০৯:২৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

রংপুরের তিস্তা নদীর মহাপরিকল্পনার কাজ দ্রুত শুরু করার দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে রংপুরের জনপথ।এসময় বিভাগের পাঁচ জেলা- লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার ১১টি পয়েন্টে একযোগে তিস্তা নদীর ১০৫ কিলোমিটার জুড়ে মশাল প্রজ্জ্বলন করে।‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক, সাবেক উপমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, অবিলম্বে মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে রংপুর বিভাগকে অচল ও স্তব্ধ করে দেওয়ার হুমকী দেয়া হয়েছে।‎

[ আরো পড়ুন :তিস্তা নদীর তীরে মশাল মিছিল শেষে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষক নিহত ]

বৃহস্পতিবার(১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলা- লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার ১১টি পয়েন্টে একযোগে তিস্তা নদীর ১০৫ কিলোমিটার জুড়ে মশাল প্রজ্জ্বলন কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এই ঘোষণা দেন সাবেক উপমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু । লক্ষাধিক মানুষের অংশ গ্রহণে এই কর্মসূচি পালিত রাত ৮টার দিকে শেষ হয়।‎ এ সময় উপস্তিত ছিলেন রংপুর বিভাগের তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম হাক্কানী, তিস্তা নদীর রক্ষা আন্দোলনের লালমনিহাট জেলার সমন্বয়ক এ কে এম মমিনুল হক, আফজাল হোসেন, বাসার সুমন, সায়েদুল ইসলাম পাটোয়ারী সাজু, এবিএম ফারু সিদ্দিকী সহ লক্ষাদিক মানুষ।

অধ্যক্ষ দুলু বলেন, তিস্তা নদী শুধু রংপুর বিভাগের নদী নয়, বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণ। তিস্তা পাড়ের মানুষ তিস্তার ন্যায্য অধিকার আদায়ে রাস্তায় নেমেছে। তিস্তা সমস্যা কোনো স্থানীয় ইস্যু নয়, এখন এটি একটি জাতীয় সমস্যা।‎

দীর্ঘ ১৩০ কিলোমিটার প্রবাহিত তিস্তা নদী রক্ষায় গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলন ক্রমশ তীব্র হচেছ। দুলু অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ ষোল বছরের “ফ্যাসিবাদী শাসন” রংপুরের মানুষের বুকে পাথরের মতো চেপে বসে আছে।তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে এবং সরকারের ধীরগতির কারণে জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।

‎আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক সাবেক উপ মন্ত্রী কঠোর ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,তিস্তা মেগা পরিকল্পনার বিপক্ষে যারা দাঁড়াবে, তারা জাতীয় শক্রুতে পরিণত হবেন।তিনি সরকারকে নভেম্বরের মধ্যেই মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু করার অনুরোধ জানান এবং জাতীয় নির্বাচনের তিন মাস আগে এই মেগা প্রকল্পের কাজ শুরুর দাবি জানান।যদি সময়মতো কাজ শুরু না হয়, তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে রংপুর বিভাগ অচল ও স্তব্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন।‎ তিনি সতর্ক করে দেন, এই অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ নেমে আসার আগেই সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হলে ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের মানুষ খাদ্যের জন্য রাজধানী অভিমুখে লংমার্চ করতে বাধ্য হবে।

‎জানা যায়, গত কয়েক মাসে তিস্তার ভাঙ্গন ও চর উত্থানের ফলে লক্ষাধিক মানুষ সরাসরি ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছেন। কৃষি জমি বিলীন হচ্ছে, বাড়িঘর ভাঙছে এবং পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে।দীর্ঘদিনের অবহেলায় তিস্তা নদীর বুকে অসংখ্য চর জেগে উঠেছে যা লাখো মানুষের জীবনে চরম দুর্ভোগ নামিয়ে এনেছে।

এর আগে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের পক্ষ থেকে রংপুর ও লালমনিরহাটে গণমিছিল, গণসমাবেশ, পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। মশাল প্রজ্জ্বলন কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, ছাত্র ও যুব সমাজের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। তাদের স্লোগান ছিলো “জাগো বাহে তিস্তা বাঁচই, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা চাই।”তিস্তা নদীর মহাপরিকল্পনার দাবিতে তিস্তা নদীর ১০৫ কিলোমিটার জুড়ে মশাল প্রজ্জ্বলন করে উত্তাল তিস্তা পাড়ের মানুষ