ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলছায়া পরিবহন এবং এম কে সুপার নামের দুটি যাত্রীবাহী বাসের যাত্রীসহ মোট ১১ জন এ দুর্ঘটনায় আহত হন। আহতদের মধ্যে নারী ও বৃদ্ধ যাত্রীও রয়েছেন। দুর্ঘটনার পর উদ্ধারকাজে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা অংশ নেন।
শীতের ঘন কুয়াশার মধ্যে ওভারটেকিং করতে গিয়ে দুটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১১ জন যাত্রী আহত হন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর ও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ময়মনসিংহ–কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার খৈরাটি এলাকায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার ফলে মহাসড়কের ওই অংশে সাময়িকভাবে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৯টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার পর প্রায় আধা ঘণ্টা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, শীতের কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কম থাকলেও দুটি বাস বেপরোয়া গতিতে ওভারটেকিং করার চেষ্টা করে। এই অসতর্ক ও ঝুঁকিপূর্ণ চালনাই দুর্ঘটনার প্রধান কারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভোরে ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলছায়া পরিবহনের একটি বাস এবং এম কে সুপার পরিবহনের আরেকটি বাস একই দিক থেকে দ্রুতগতিতে চলছিল। কুয়াশা উপেক্ষা করে চালকরা একে অপরকে ওভারটেক করার চেষ্টা করেন। এ সময় খৈরাটি এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা কিশোরগঞ্জগামী একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের ফলে বাস দুটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং যাত্রীরা ভেতরে ছিটকে পড়ে আহত হন।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। পরে ঈশ্বরগঞ্জ থানার পুলিশ দুর্ঘটনাকবলিত বাস দুটি মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেয় এবং যান চলাচল স্বাভাবিক করে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

সাজ্জাদ হোসেন,ময়মনসিংহ 





















