১২:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

বিজয় দিবসে শহীদদের শ্রদ্ধা, স্মৃতিসৌধে জনস্রোত

  • এবিএন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১১:৪২:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
  • 53

আজ মহান বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরবের দিনগুলোর একটি। ১৯৭১ সালের এই দিনে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হয়।

বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরেই সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। ভোরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। আনুষ্ঠানিক শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ সর্বস্তরের মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় স্মৃতিসৌধে উপস্থিত হন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সকাল ৬টা ৩১ মিনিটে তিনি শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করে। বিউগলের করুণ সুরে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ হয়ে ওঠে আবেগময়, এবং তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

এরপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কুশল বিনিময় করেন।

বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। এছাড়া বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি কূটনীতিক, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

সকাল গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল নামে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ শহীদদের প্রতি সম্মান জানাতে সেখানে উপস্থিত হন। শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় মুখরিত হয়ে ওঠে স্মৃতিসৌধ এলাকা। দিবসটি উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল কয়েক স্তরে জোরদার।

১৬ ডিসেম্বর শুধু একটি ঐতিহাসিক দিন নয়, এটি স্বাধীনতা, বিজয় ও আত্মমর্যাদার প্রতীক। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির দীর্ঘ সংগ্রামের পরিসমাপ্তি ঘটে। মহান বিজয় দিবস প্রতিটি প্রজন্মকে দেশপ্রেম, ত্যাগ ও দায়িত্ববোধের কথা নতুন করে স্মরণ করিয়ে দেয়।

 

জনপ্রিয়

সাংবাদিক ঐক্য ফেডারেশন, টাঙ্গাইল-এর উদ্যোগে বনভোজন ও পরিচিতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

বিজয় দিবসে শহীদদের শ্রদ্ধা, স্মৃতিসৌধে জনস্রোত

প্রকাশের সময় : ১১:৪২:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫

আজ মহান বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরবের দিনগুলোর একটি। ১৯৭১ সালের এই দিনে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হয়।

বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরেই সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। ভোরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। আনুষ্ঠানিক শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ সর্বস্তরের মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় স্মৃতিসৌধে উপস্থিত হন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সকাল ৬টা ৩১ মিনিটে তিনি শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করে। বিউগলের করুণ সুরে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ হয়ে ওঠে আবেগময়, এবং তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

এরপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কুশল বিনিময় করেন।

বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। এছাড়া বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি কূটনীতিক, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

সকাল গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল নামে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ শহীদদের প্রতি সম্মান জানাতে সেখানে উপস্থিত হন। শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় মুখরিত হয়ে ওঠে স্মৃতিসৌধ এলাকা। দিবসটি উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল কয়েক স্তরে জোরদার।

১৬ ডিসেম্বর শুধু একটি ঐতিহাসিক দিন নয়, এটি স্বাধীনতা, বিজয় ও আত্মমর্যাদার প্রতীক। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির দীর্ঘ সংগ্রামের পরিসমাপ্তি ঘটে। মহান বিজয় দিবস প্রতিটি প্রজন্মকে দেশপ্রেম, ত্যাগ ও দায়িত্ববোধের কথা নতুন করে স্মরণ করিয়ে দেয়।