বিস্তারিত – আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নেত্রকোনার সীমান্তর্বতী দুর্গাপুর উপজেলায় বাড়ছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ। প্রতিদিনই ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে চাপ বেড়েছে। অনেক রোগীকেই উন্নত সেবার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করতে হচ্ছে।
শিশুরাই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হওয়ায় অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা বাড়ছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত নভেম্বর মাসে ৩২৭ জন এবং চলতি ডিসেম্বর মাসে এখন পর্যন্ত ৯০-এর বেশি রোগী ঠান্ডাজনিত রোগে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে অধিকাংশই শিশু। সে হিসাবে গত নভেম্বর মাস হতে চলতি ডিসেম্বরের আজ পর্যন্ত এই ৪০ দিনে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেওয়ার সংখ্যা ৪১৭ জন।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, ৫০ শয্যার দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখা দিয়েছে শয্যাসংকট। সক্ষমতা ৫০ শয্যা হলেও সব মিলিয়ে আজ মোট ভর্তি ৬৭ জন রোগী; এর মধ্যে ঠান্ডাজনিত রোগী ১১ জন। এতে হিমশিম খেতে হচ্ছে দায়িত্বপ্রাপ্তদের। অন্যদিকে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের পাশাপাশি আউটডোর ও প্রাইভেট চেম্বারগুলোতেও ঠান্ডাজনিত রোগীর চাপ বাড়ছে। চিকিৎসকদের মতে, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই; তবে পরিবারের সদস্য, বিশেষ করে শিশুদের অতিরিক্ত ঠান্ডা থেকে সুরক্ষা দেওয়াই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স ইতি রানী কর্মকার বলেন, আমাদের শিশু ওয়ার্ডে মাত্র ১০ শয্যা, কিন্তু রোগী আরও বেশি। তাই অনেক শিশুকে বাধ্য হয়ে অন্য ওয়ার্ডে রাখতে হচ্ছে। তারপরও সাধ্যমতো সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মো. তানজিরুল ইসলাম রায়হান বলেন, ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে, এর মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। কিছু রোগী খুব খারাপ অবস্থায় হাসপাতালে আসে, যাদের ময়মনসিংহে রেফার্ড করতে হচ্ছে। প্রয়োজনের তুলনায় শয্যা কম থাকায় কিছুটা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

তোফায়েল আলম ভূঁইয়া. দুর্গাপুর প্রতিনিধি 





















