১০:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

নড়াইল-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন কর্নেল (অব.) সাজ্জাদ হোসেন

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নড়াইল-১ (কালিয়া—নড়াগাতী—নড়াইল সদরের একাংশ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন ঘোষণা করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) এস. এম. সাজ্জাদ হোসেন।

২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। আগামী নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলেও, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপির নীতিনির্ধারক নির্দেশনা বাস্তবায়নে সক্রিয় ছিলেন এবং ধানের শীষের পক্ষে জনসমর্থন আদায়ে মাঠে ছিলেন।

তবে সম্প্রতি সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম না থাকার পর, দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে তিনি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেন।

কর্নেল (অব.) এস. এম. সাজ্জাদ বলেন, “জাতীয় সংসদের ভোটে অংশ নিয়ে তৃণমূল গণমানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে চাই। সারাজীবন সততা, দায়িত্ববোধ ও নিষ্ঠার সঙ্গে দেশের জন্য কাজ করেছি; অবসরের পরও এলাকার মানুষের পাশে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।”

সাজ্জাদ আরও বলেন, “৩০ বছরের সামরিক অভিজ্ঞতা, জাতিসংঘে দেশের পতাকা বহনের গৌরব ও আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা নিয়ে নড়াইল-১ আসনের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখতে চাই। স্থানীয় উন্নয়ন, অবকাঠামো নির্মাণ, শিক্ষা–চিকিৎসা ও কর্মসংস্থান—সবক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের পাশে থেকেছি। এলাকার শত শত তরুণকে সরকারি চাকরির পথ তৈরি করে দিতে পেরেছি, যা আমার বড় অর্জন।”

কর্নেল (অব.) এস. এম. সাজ্জাদ হোসেন নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পিরোলী ইউনিয়নের খররিয়া গ্রামের সন্তান। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে তাদের গৌরবপূর্ণ পরিচিতি রয়েছে। তাঁর বাবা মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলার রহমান শিকদারসহ পরিবারের পাঁচজন গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা।

নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে তিনি ইতোমধ্যে কালিয়া পৌরসভা, পিরোলী, হামিদপুর, সিংগাশোলপুর, বিছালী, কলোড়া, শেখহাটি ইউনিয়নসহ বিস্তৃত এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। উঠান বৈঠক, পথসভা ও সরাসরি ভোটার সংযোগে তিনি ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন বলে জানান।

এদিকে একই আসনে বিএনপির মনোনীত প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম, জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী জেলা সেক্রেটারি মাওলানা ওবায়দুল্লাহ কায়সার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী মাওলানা আব্দুল আজিজ এবং জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থীরা মোল্যা মিল্টন ও অ্যাডভোকেট গাজী মাহবুব ইমরান রয়েছেন।

জনপ্রিয়

আবু সাঈদ হত্যা মামলায় আজও সাক্ষ্য দেবেন তদন্ত কর্মকর্তা

নড়াইল-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন কর্নেল (অব.) সাজ্জাদ হোসেন

প্রকাশের সময় : ১২:২২:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৫

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নড়াইল-১ (কালিয়া—নড়াগাতী—নড়াইল সদরের একাংশ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন ঘোষণা করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) এস. এম. সাজ্জাদ হোসেন।

২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। আগামী নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলেও, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপির নীতিনির্ধারক নির্দেশনা বাস্তবায়নে সক্রিয় ছিলেন এবং ধানের শীষের পক্ষে জনসমর্থন আদায়ে মাঠে ছিলেন।

তবে সম্প্রতি সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম না থাকার পর, দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে তিনি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেন।

কর্নেল (অব.) এস. এম. সাজ্জাদ বলেন, “জাতীয় সংসদের ভোটে অংশ নিয়ে তৃণমূল গণমানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে চাই। সারাজীবন সততা, দায়িত্ববোধ ও নিষ্ঠার সঙ্গে দেশের জন্য কাজ করেছি; অবসরের পরও এলাকার মানুষের পাশে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।”

সাজ্জাদ আরও বলেন, “৩০ বছরের সামরিক অভিজ্ঞতা, জাতিসংঘে দেশের পতাকা বহনের গৌরব ও আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা নিয়ে নড়াইল-১ আসনের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখতে চাই। স্থানীয় উন্নয়ন, অবকাঠামো নির্মাণ, শিক্ষা–চিকিৎসা ও কর্মসংস্থান—সবক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের পাশে থেকেছি। এলাকার শত শত তরুণকে সরকারি চাকরির পথ তৈরি করে দিতে পেরেছি, যা আমার বড় অর্জন।”

কর্নেল (অব.) এস. এম. সাজ্জাদ হোসেন নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পিরোলী ইউনিয়নের খররিয়া গ্রামের সন্তান। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে তাদের গৌরবপূর্ণ পরিচিতি রয়েছে। তাঁর বাবা মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলার রহমান শিকদারসহ পরিবারের পাঁচজন গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা।

নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে তিনি ইতোমধ্যে কালিয়া পৌরসভা, পিরোলী, হামিদপুর, সিংগাশোলপুর, বিছালী, কলোড়া, শেখহাটি ইউনিয়নসহ বিস্তৃত এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। উঠান বৈঠক, পথসভা ও সরাসরি ভোটার সংযোগে তিনি ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন বলে জানান।

এদিকে একই আসনে বিএনপির মনোনীত প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম, জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী জেলা সেক্রেটারি মাওলানা ওবায়দুল্লাহ কায়সার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী মাওলানা আব্দুল আজিজ এবং জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থীরা মোল্যা মিল্টন ও অ্যাডভোকেট গাজী মাহবুব ইমরান রয়েছেন।