পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির ২৮তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজন করেছে আলীকদম সেনা জোন (৩১ বীর)। শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের বার্তা নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় র্যালি, আলোচনা সভা, শীতবস্ত্র বিতরণ, ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকালে আলীকদম উপজেলা প্রশাসন চত্বর থেকে শান্তির প্রতীক সাদা কবুতর উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন আলীকদম সেনা জোনের জোন কমান্ডার (৩১ বীর) লে. কর্নেল মো. আশিকুর রহমান আশিক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনজুর আলমসহ সামরিক কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক এবং বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ।
উদ্বোধনের পর সেনাজোন থেকে একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে উপজেলার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় সেনাজোনে এসে শান্তি সমাবেশে মিলিত হয়। শোভাযাত্রায় বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষ ও বাঙালি জনসাধারণ ঐতিহ্যবাহী পোশাক, ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে অংশগ্রহণ করেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে লে. কর্নেল মো. আশিকুর রহমান আশিক বলেন, “পার্বত্য শান্তিচুক্তি পাহাড়ি–বাঙালি সম্প্রীতির ভিত্তি গড়ে তুলেছে এবং দীর্ঘদিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাত থেকে জাতি মুক্ত হয়েছে। আলীকদমে অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাদককারবারিদের স্থান হবে না। আপনারা আমাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময় আপনাদের পাশে আছে।”
তিনি আরও বলেন, সেনাবাহিনী পাহাড়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রাস্তা–ঘাটসহ অভূতপূর্ব উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।
দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মনজুর আলম, আলীকদম জোনের মেজর হাফিজুর রহমান, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য সাইফুল ইসলাম রিমন, সদর ইউপি চেয়ারম্যান নাছির উদ্দীন, চৈক্ষ্যং ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, নয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান কফিল উদ্দীন, ত্রিপুরা প্রতিনিধি আগস্টিন ত্রিপুরা, ম্রো কল্যাণ ছাত্রবাসের পরিচালক ইয়ংলক ম্রো, মৌজা হেডম্যান অংহ্লাচিং মার্মা এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা।
উচ্ছ্বাসমুখর পরিবেশে শান্তি চুক্তির ২৮তম বর্ষপূর্তি উদযাপনের সকল কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন হয়।

ফরহাদ আহমদ সজল, বান্দরবান 






















