প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি), ঢাকার আয়োজনে অনুষ্ঠিত “ডিজিটাল মিডিয়া বিষয়ক তিনদিনের প্রশিক্ষণ”-এ অংশগ্রহণকারী বাছাই নিয়ে তীব্র অসন্তোষ ও বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। জেলা প্রেসক্লাবের পক্ষপাতমূলক মনোভাব সাংবাদিক সমাজে পুনরায় বৈষম্যের বীজ বপণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ডেইলি স্টারের বান্দরবান প্রতিনিধি মং সিং হাই মার্মা।
২৫-২৭ নভেম্বর বান্দরবান জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এ প্রশিক্ষণে প্রায় অর্ধশতাধিক অংশগ্রহণকারী থাকলেও মাত্র ৩ জন আদিবাসী সাংবাদিককে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। অথচ জেলার মূলধারার গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশই আদিবাসী ও সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর।
প্রশিক্ষণ ম্যানুয়ালে স্পষ্টভাবে উল্লেখ ছিল—জেলায় কর্মরত মূলধারার গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, অধিকাংশ মূলধারার সাংবাদিককে না জানিয়ে, না ডেকে, জেলা প্রেসক্লাব নিজেদের পছন্দমতো তালিকা পাঠিয়েছে।
জেলার বহু সাংবাদিক জানিয়েছেন, প্রশিক্ষণ আয়োজন সম্পর্কে তাদের কোনো তথ্যই অবহিত করা হয়নি। এতে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং একে ‘প্রকাশ্য বৈষম্য ও স্বজনপ্রীতি’ বলে অভিহিত করেন।
মং সিং হাই মার্মা বলেন, “এই ধরনের নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুধু বৈষম্যকেই উসকে দেয় না, বরং সাংবাদিক সমাজে বিভাজন তৈরি করে। মূলধারার সাংবাদিকদের বাদ দিয়ে এমন পক্ষপাতমূলক আচরণ দুঃখজনক।”
সাংবাদিক মহলে এ ঘটনা আবারও প্রমাণ করল—বান্দরবানে পেশাগত ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও সমতা প্রতিষ্ঠা এখনো বড় চ্যালেঞ্জ।

ফরহাদ আহমদ সজল, বান্দরবান: 

























