০৪:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

আধিপত্য বিস্তার ও রাজনৈতিক কোন্দলে কিবরিয়া হ/ত্যা

গত ১৭ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগরীর পল্লবী থানাধীন মিরপুর-১২, ব্লক-বি, বিক্রমপুর সেনিটারী ও হার্ডওয়্যার দোকানে ০৬ জন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী প্রকাশ্য দিবালোকে পিস্তল দিয়ে বুকে ও পিঠে অতর্কিত গুলি করে পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিব গোলাম কিবরিয়া (৫০)’কে হত্যা করে। উক্ত স্থান হতে পলায়নের সময় স্থানীয় জনতার উপর অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা গুলি করে এবং এতে একজন রিক্সা চালক গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর জখম হয়। পরবর্তীতে ছাত্র জনতা তাদেরকে ধাওয়া করে জনি ভূইয়া (২৫) নামক একজন সন্ত্রাসীকে আটক করে পল্লবী থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করে। উক্ত বিষয়ে ভিকটিমের পরিবার পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে

উক্ত ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারিত হয়। ঘটনার পরপরই র‍্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সিসিটিভি ফুটেজ এবং আনুষঙ্গিক তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং জড়িত আসামিদের আইনের আওতায় আনতে ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায়, ১৮ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ রাতে সাভার থানাধীন বিরোলিয়া এলাকা হতে গোলাম কিবরিয়া হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামি এবং হত্যাকান্ডের নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী মোঃ মনির হোসেন সোহেল ( পাতা সোহেল (৩০) এবং জিএমপির টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন মাজার বস্তি এলাকা হতে উক্ত হত্যাকান্ডের সন্দিগ্ধ ও ১৮টি মামলার শীর্ষ ও পলাতক সন্ত্রাসী মোঃ সুজন বুকপোড়া সুজন (৩৫)’কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৪ এর আভিযানিক দল।

পর্ব-১

আজ ১৯-১১-২০২৫ ইং(বুধবার) র‍্যাব-৪ এর প্রেস ব্রিফিং এ মেজর আবরার ফয়সার সাদী জানান গ্রেফতারকৃত আসামিদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রাজনৈতিক কোন্দাল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উক্ত হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যায় আজ থেকে দুই বছর পূর্বে পল্লবী থানার যুবদলের আহ্বায় কমিটি ঘোষণা করা হয়। উক্ত কমিটি ঘোষণার পর থেকে কমিটির আহ্বায়ক নূর সালাম এর সাথে নিহত গোলাম কিবরিয়ার মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়।

৫ই আগস্ট ফ্যাসিস্ট আআওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর নূর সালাম এবং গোলাম কিবরিয়ার মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার এবং জুট ব্যবসা কে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। অনুসন্ধানে আরো জানা যায় পল্লবী থানার যুবদলের আহবায়ক নুর সালাম একাধিক গার্মেন্টসও জুট ব্যাবসা নিয়ন্ত্রণে একক আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। বিষয়টি নিহত গোলাম কিবরিয়া ও তার অনুসারীরা মেনে নিতে পারেনি ফলে তাদের মধ্যে মন মালিন্য সৃষ্টি হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গোলাম কিবরিয়ার এক অনুসারী জানান কিছুদিন আগে নুর -সালাম স্থানীয় এক সাংবাদিককে ১ লক্ষ টাকা দেয় গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করার জন্য।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় প্রেরণ করা হয়েছে।

জনপ্রিয়

সাংবাদিক ঐক্য ফেডারেশন, টাঙ্গাইল-এর উদ্যোগে বনভোজন ও পরিচিতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

আধিপত্য বিস্তার ও রাজনৈতিক কোন্দলে কিবরিয়া হ/ত্যা

প্রকাশের সময় : ০৯:০৮:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

গত ১৭ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগরীর পল্লবী থানাধীন মিরপুর-১২, ব্লক-বি, বিক্রমপুর সেনিটারী ও হার্ডওয়্যার দোকানে ০৬ জন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী প্রকাশ্য দিবালোকে পিস্তল দিয়ে বুকে ও পিঠে অতর্কিত গুলি করে পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিব গোলাম কিবরিয়া (৫০)’কে হত্যা করে। উক্ত স্থান হতে পলায়নের সময় স্থানীয় জনতার উপর অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা গুলি করে এবং এতে একজন রিক্সা চালক গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর জখম হয়। পরবর্তীতে ছাত্র জনতা তাদেরকে ধাওয়া করে জনি ভূইয়া (২৫) নামক একজন সন্ত্রাসীকে আটক করে পল্লবী থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করে। উক্ত বিষয়ে ভিকটিমের পরিবার পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে

উক্ত ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারিত হয়। ঘটনার পরপরই র‍্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সিসিটিভি ফুটেজ এবং আনুষঙ্গিক তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং জড়িত আসামিদের আইনের আওতায় আনতে ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায়, ১৮ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ রাতে সাভার থানাধীন বিরোলিয়া এলাকা হতে গোলাম কিবরিয়া হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামি এবং হত্যাকান্ডের নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী মোঃ মনির হোসেন সোহেল ( পাতা সোহেল (৩০) এবং জিএমপির টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন মাজার বস্তি এলাকা হতে উক্ত হত্যাকান্ডের সন্দিগ্ধ ও ১৮টি মামলার শীর্ষ ও পলাতক সন্ত্রাসী মোঃ সুজন বুকপোড়া সুজন (৩৫)’কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৪ এর আভিযানিক দল।

পর্ব-১

আজ ১৯-১১-২০২৫ ইং(বুধবার) র‍্যাব-৪ এর প্রেস ব্রিফিং এ মেজর আবরার ফয়সার সাদী জানান গ্রেফতারকৃত আসামিদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রাজনৈতিক কোন্দাল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উক্ত হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যায় আজ থেকে দুই বছর পূর্বে পল্লবী থানার যুবদলের আহ্বায় কমিটি ঘোষণা করা হয়। উক্ত কমিটি ঘোষণার পর থেকে কমিটির আহ্বায়ক নূর সালাম এর সাথে নিহত গোলাম কিবরিয়ার মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়।

৫ই আগস্ট ফ্যাসিস্ট আআওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর নূর সালাম এবং গোলাম কিবরিয়ার মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার এবং জুট ব্যবসা কে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। অনুসন্ধানে আরো জানা যায় পল্লবী থানার যুবদলের আহবায়ক নুর সালাম একাধিক গার্মেন্টসও জুট ব্যাবসা নিয়ন্ত্রণে একক আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। বিষয়টি নিহত গোলাম কিবরিয়া ও তার অনুসারীরা মেনে নিতে পারেনি ফলে তাদের মধ্যে মন মালিন্য সৃষ্টি হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গোলাম কিবরিয়ার এক অনুসারী জানান কিছুদিন আগে নুর -সালাম স্থানীয় এক সাংবাদিককে ১ লক্ষ টাকা দেয় গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করার জন্য।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় প্রেরণ করা হয়েছে।