০৩:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

স্বাস্থ্যকর গ্রাম অর্জনে লালমনিরহাটে ইএসডিও ও ম্যাক্স ফাউন্ডেশনের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান

  • এবিএন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০২:২৮:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
  • 18

ম্যাক্স ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় ইকো-সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) বাস্তবায়িত “হেলদি ভিলেজ ইন আরবান প্রোগ্রাম (এইচভিইউপি)” এর আওতায় স্বাস্থ্যকর গ্রাম গঠনে অবদান রাখায় কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপ (সিএসজি)-এর সদস্যদের সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় লালমনিরহাট জেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম কাম কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট  এইচ. এম. রকিব হায়দার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লালমনিরহাট  সিভিল সার্জন  ডা. আব্দুল হাকিম, এবং লালমনিরহাট জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আলিম গাজী।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার উপপরিচালক উপসচিব রাজীব আহসান।

প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক এইচ. এম. রকিব হায়দার বলেন, “ইএসডিও ও ম্যাক্স ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগ একটি মানবিক আন্দোলন। স্বাস্থ্যকর গ্রাম কোনো ধারণা নয়, এটি মানুষের সচেতনতা ও আচরণের পরিবর্তনের প্রতিফলন। জেলা প্রশাসন ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগে সহযোগিতা করবে।”

বিশেষ অতিথি সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল হাকিম বলেন, “হেলদি ভিলেজ ইন আরবান কর্মসূচি জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করছে। মানুষ এখন নিরাপদ পানি ব্যবহার, হাত ধোয়া ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ বিষয়ে আরও সচেতন হয়েছে।”

বিশেষ অতিথি নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আলিম গাজী বলেন, “গ্রামীণ স্যানিটেশন ও নিরাপদ পানি ব্যবস্থাপনায় ইএসডিও ও ম্যাক্স ফাউন্ডেশনের অবদান অনুকরণীয়। শুধু অবকাঠামো নয়, মানুষ এখন নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হয়েছে—এটাই সবচেয়ে বড় অর্জন।”

সভাপতি উপপরিচালক (উপসচিব ) রাজীব আহসান বলেন, “এই প্রকল্পে সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতার সুন্দর সমন্বয় ঘটেছে। স্থানীয় নেতৃত্ব, নারী অংশগ্রহণ ও যুবশক্তির ইতিবাচক ভূমিকা সত্যিই প্রশংসনীয়। আজ যেসব কমিউনিটি ‘স্বাস্থ্যকর গ্রাম’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, তারা আগামী দিনে অন্যদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।”

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশম্যাক্স ফাউন্ডেশনের  কান্ট্রি ডিরেক্টর; ড. মো. তারিকুল ইসলাম, ইএসডিও এর হেড অব অপারেশন আবু জাফর নুর মোহাম্মদ,  ম্যাক্স ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মিথুন গুপ্ত; এবং ইএসডিও প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. মাসুদ রানা।

উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন একজন সিএসজি লিডার, একজন হেলথ প্রমোশন উদ্যোক্তা (এইচপিএ), একজন ল্যাট্রিন উদ্যোক্তা, একজন প্রতিবন্ধী শিশুর মা এবং একজন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান। তারা প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের জীবনমান পরিবর্তনের বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানের শেষে “স্বাস্থ্যকর গ্রাম” স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কমিউনিটি প্রতিনিধিদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে লালমনিরহাট সদর উপজেলার লালমনিরহাট পৌরসভা, মোগলহাট, কুলাঘাট, মহেন্দ্রনগর ও হারাটি ইউনিয়ন এবং আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ী ও সারপুকুর ইউনিয়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
প্রকল্পের আওতায় মোট ১৮৯টি কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপ (সিএসজি) গঠিত হয়েছে, যার মধ্যে ১৩১টি গ্রাম ইতোমধ্যে “স্বাস্থ্যকর গ্রাম” হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে এবং বাকি ৫৮টি গ্রাম গ্র্যাজুয়েশন পর্যায়ে রয়েছে।

অনুষ্ঠান শেষে অতিথিবৃন্দ “হেলদি ভিলেজ” প্রকল্পের স্টল ও প্রদর্শনী সামগ্রী পরিদর্শন করেন।

জনপ্রিয়

জাবি অধ্যাপকের ফেসবুক পোস্টে অশ্লীল মন্তব্যকারীর বিচার দাবি জাবি ছাত্রদলের

স্বাস্থ্যকর গ্রাম অর্জনে লালমনিরহাটে ইএসডিও ও ম্যাক্স ফাউন্ডেশনের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান

প্রকাশের সময় : ০২:২৮:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

ম্যাক্স ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় ইকো-সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) বাস্তবায়িত “হেলদি ভিলেজ ইন আরবান প্রোগ্রাম (এইচভিইউপি)” এর আওতায় স্বাস্থ্যকর গ্রাম গঠনে অবদান রাখায় কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপ (সিএসজি)-এর সদস্যদের সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় লালমনিরহাট জেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম কাম কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট  এইচ. এম. রকিব হায়দার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লালমনিরহাট  সিভিল সার্জন  ডা. আব্দুল হাকিম, এবং লালমনিরহাট জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আলিম গাজী।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার উপপরিচালক উপসচিব রাজীব আহসান।

প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক এইচ. এম. রকিব হায়দার বলেন, “ইএসডিও ও ম্যাক্স ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগ একটি মানবিক আন্দোলন। স্বাস্থ্যকর গ্রাম কোনো ধারণা নয়, এটি মানুষের সচেতনতা ও আচরণের পরিবর্তনের প্রতিফলন। জেলা প্রশাসন ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগে সহযোগিতা করবে।”

বিশেষ অতিথি সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল হাকিম বলেন, “হেলদি ভিলেজ ইন আরবান কর্মসূচি জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করছে। মানুষ এখন নিরাপদ পানি ব্যবহার, হাত ধোয়া ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ বিষয়ে আরও সচেতন হয়েছে।”

বিশেষ অতিথি নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আলিম গাজী বলেন, “গ্রামীণ স্যানিটেশন ও নিরাপদ পানি ব্যবস্থাপনায় ইএসডিও ও ম্যাক্স ফাউন্ডেশনের অবদান অনুকরণীয়। শুধু অবকাঠামো নয়, মানুষ এখন নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হয়েছে—এটাই সবচেয়ে বড় অর্জন।”

সভাপতি উপপরিচালক (উপসচিব ) রাজীব আহসান বলেন, “এই প্রকল্পে সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতার সুন্দর সমন্বয় ঘটেছে। স্থানীয় নেতৃত্ব, নারী অংশগ্রহণ ও যুবশক্তির ইতিবাচক ভূমিকা সত্যিই প্রশংসনীয়। আজ যেসব কমিউনিটি ‘স্বাস্থ্যকর গ্রাম’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, তারা আগামী দিনে অন্যদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।”

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশম্যাক্স ফাউন্ডেশনের  কান্ট্রি ডিরেক্টর; ড. মো. তারিকুল ইসলাম, ইএসডিও এর হেড অব অপারেশন আবু জাফর নুর মোহাম্মদ,  ম্যাক্স ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মিথুন গুপ্ত; এবং ইএসডিও প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. মাসুদ রানা।

উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন একজন সিএসজি লিডার, একজন হেলথ প্রমোশন উদ্যোক্তা (এইচপিএ), একজন ল্যাট্রিন উদ্যোক্তা, একজন প্রতিবন্ধী শিশুর মা এবং একজন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান। তারা প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের জীবনমান পরিবর্তনের বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানের শেষে “স্বাস্থ্যকর গ্রাম” স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কমিউনিটি প্রতিনিধিদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে লালমনিরহাট সদর উপজেলার লালমনিরহাট পৌরসভা, মোগলহাট, কুলাঘাট, মহেন্দ্রনগর ও হারাটি ইউনিয়ন এবং আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ী ও সারপুকুর ইউনিয়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
প্রকল্পের আওতায় মোট ১৮৯টি কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপ (সিএসজি) গঠিত হয়েছে, যার মধ্যে ১৩১টি গ্রাম ইতোমধ্যে “স্বাস্থ্যকর গ্রাম” হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে এবং বাকি ৫৮টি গ্রাম গ্র্যাজুয়েশন পর্যায়ে রয়েছে।

অনুষ্ঠান শেষে অতিথিবৃন্দ “হেলদি ভিলেজ” প্রকল্পের স্টল ও প্রদর্শনী সামগ্রী পরিদর্শন করেন।