০৯:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে নদী থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় গরু ব্যবসায়ীর ম/রদে/হ উ/দ্ধার

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় ফুলজোড় নদী থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মো. আব্দুল লতিফ (৪৫) নামের এক গরু ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১২ নভেম্বর) ভোরে স্থানীয়রা নদীতে মরদেহটি ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দিলে সলঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে।

নিহত আব্দুল লতিফ সলঙ্গা থানার চর ফরিদপুর গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে গরু কেনাবেচার ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লতিফ গত রোববার রাতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাননি। অবশেষে বুধবার সকালে ফুলজোড় নদীতে তার মরদেহ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেন।

সলঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) মনোজিৎ কুমার নন্দী বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, লতিফকে হত্যা করে হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। মরদেহটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ শহীদ এম. মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।”

রায়গঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম খান বলেন, “ঘটনাটি আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে। ইতোমধ্যে পুলিশের একাধিক দল মাঠে নেমেছে এবং জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।”

এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

জনপ্রিয়

লকডাউন সফল করো’ স্লোগানে বান্দরবানের লামায় নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের মিছিল, আটক ১

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে নদী থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় গরু ব্যবসায়ীর ম/রদে/হ উ/দ্ধার

প্রকাশের সময় : ১০:৫১:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় ফুলজোড় নদী থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মো. আব্দুল লতিফ (৪৫) নামের এক গরু ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১২ নভেম্বর) ভোরে স্থানীয়রা নদীতে মরদেহটি ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দিলে সলঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে।

নিহত আব্দুল লতিফ সলঙ্গা থানার চর ফরিদপুর গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে গরু কেনাবেচার ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লতিফ গত রোববার রাতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাননি। অবশেষে বুধবার সকালে ফুলজোড় নদীতে তার মরদেহ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেন।

সলঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) মনোজিৎ কুমার নন্দী বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, লতিফকে হত্যা করে হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। মরদেহটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ শহীদ এম. মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।”

রায়গঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম খান বলেন, “ঘটনাটি আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে। ইতোমধ্যে পুলিশের একাধিক দল মাঠে নেমেছে এবং জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।”

এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।