১১:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

প্রেম, বিয়ে, প্রতারণা — একের পর এক নারীর জীবন নষ্ট করছে লালমনিরহাটের আতিকুল

লালমনিরহাটের এক যুবকের বিরুদ্ধে একাধিক নারীর সঙ্গে বিয়ের সম্পর্ক গড়ে তুলে পরবর্তীতে তা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীদের দাবি, ওই ব্যক্তি বিদেশ যাওয়ার অজুহাতে বিয়ে করেন এবং পরে নানা কৌশলে সম্পর্ক ছিন্ন করে দেন।

অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আতিকুল ইসলাম (ডাকনাম: দুবাই আতিক)। অভিযোগ রয়েছে, তিনি বিয়ের পর স্বাভাবিক সংসার না করে পারিবারিকভাবে ‘তালাকের ব্যবস্থা’ করেন। এর ফলে নারীরা চরম সামাজিক ও মানসিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন।

ভুক্তভোগী কয়েকজন নারী জানান, আতিক নিজেকে কখনও “প্রবাসী” আবার কখনও “বিদেশে যাওয়ার প্রক্রিয়াধীন” পরিচয়ে বিশ্বাস অর্জন করেন। পরে বিয়ের পর বিদেশ যাওয়ার অজুহাতে সম্পর্ক থেকে সরে যান।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আতিকুল ইসলাম বিভিন্ন সময়ে অল্প বয়সী মেয়েদের এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করে কিছুদিন সংসার করার পর শুরু করেন প্রতারণা। এরপর ভুক্তভোগী মেয়েকে ত্যাগ করার জন্য তার এলাকায় কিছু প্রভাবশালী ‘দেওয়ানীদের’ ব্যবহার করেন, যারা টাকার বিনিময়ে এসব বিষয়ে সমাধান করে দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত মেয়েদের পরিবার আর্থিক ও সামাজিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে।

ভাদাই ইউনিয়নের সজীব বাজার এলাকার আলম মিয়া বলেন, “আতিক প্রায় প্রতি বছরই একজন করে স্ত্রীকে টাকা নিয়ে তালাক দেয়। আমি যতটুকু জানি, এখন পর্যন্ত তিনটি মেয়েকে সে অর্থের বিনিময়ে তালাক দিয়েছে। প্রথম বিয়ে করেছিল মহিষখোচা ইউনিয়নের চৌধুরী বাজার এলাকায়; বিয়ের তিন মাসের মাথায় জোর করে তালাক দেয়।”

ভাদাই পশ্চিমপাড়া এলাকার শফিকুল ইসলাম বলেন, “আমাদের এলাকার নাম এখন কেউ ভালোভাবে নিতে চায় না আতিকের কারণে। এই ঘটনায় সঠিক বিচার হওয়া প্রয়োজন।”

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আতিকুল ইসলামের পক্ষ থেকে এখনও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার বক্তব্য জানার জন্য চেষ্টা চলছে।

ভুক্তভোগীরা দ্রুত প্রশাসনিক তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

জনপ্রিয়

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে কাজ করতে হবে: আতাউর রহমান সম্ভু

প্রেম, বিয়ে, প্রতারণা — একের পর এক নারীর জীবন নষ্ট করছে লালমনিরহাটের আতিকুল

প্রকাশের সময় : ০৪:১৭:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫

লালমনিরহাটের এক যুবকের বিরুদ্ধে একাধিক নারীর সঙ্গে বিয়ের সম্পর্ক গড়ে তুলে পরবর্তীতে তা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীদের দাবি, ওই ব্যক্তি বিদেশ যাওয়ার অজুহাতে বিয়ে করেন এবং পরে নানা কৌশলে সম্পর্ক ছিন্ন করে দেন।

অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আতিকুল ইসলাম (ডাকনাম: দুবাই আতিক)। অভিযোগ রয়েছে, তিনি বিয়ের পর স্বাভাবিক সংসার না করে পারিবারিকভাবে ‘তালাকের ব্যবস্থা’ করেন। এর ফলে নারীরা চরম সামাজিক ও মানসিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন।

ভুক্তভোগী কয়েকজন নারী জানান, আতিক নিজেকে কখনও “প্রবাসী” আবার কখনও “বিদেশে যাওয়ার প্রক্রিয়াধীন” পরিচয়ে বিশ্বাস অর্জন করেন। পরে বিয়ের পর বিদেশ যাওয়ার অজুহাতে সম্পর্ক থেকে সরে যান।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আতিকুল ইসলাম বিভিন্ন সময়ে অল্প বয়সী মেয়েদের এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করে কিছুদিন সংসার করার পর শুরু করেন প্রতারণা। এরপর ভুক্তভোগী মেয়েকে ত্যাগ করার জন্য তার এলাকায় কিছু প্রভাবশালী ‘দেওয়ানীদের’ ব্যবহার করেন, যারা টাকার বিনিময়ে এসব বিষয়ে সমাধান করে দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত মেয়েদের পরিবার আর্থিক ও সামাজিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে।

ভাদাই ইউনিয়নের সজীব বাজার এলাকার আলম মিয়া বলেন, “আতিক প্রায় প্রতি বছরই একজন করে স্ত্রীকে টাকা নিয়ে তালাক দেয়। আমি যতটুকু জানি, এখন পর্যন্ত তিনটি মেয়েকে সে অর্থের বিনিময়ে তালাক দিয়েছে। প্রথম বিয়ে করেছিল মহিষখোচা ইউনিয়নের চৌধুরী বাজার এলাকায়; বিয়ের তিন মাসের মাথায় জোর করে তালাক দেয়।”

ভাদাই পশ্চিমপাড়া এলাকার শফিকুল ইসলাম বলেন, “আমাদের এলাকার নাম এখন কেউ ভালোভাবে নিতে চায় না আতিকের কারণে। এই ঘটনায় সঠিক বিচার হওয়া প্রয়োজন।”

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আতিকুল ইসলামের পক্ষ থেকে এখনও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার বক্তব্য জানার জন্য চেষ্টা চলছে।

ভুক্তভোগীরা দ্রুত প্রশাসনিক তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।