০৯:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
নালিতাবাড়ীতে সাংবাদিক পরিবারের কাণ্ড

বাবার বিরুদ্ধে মাদক মামলা, ছেলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে সাংবাদিক পরিচয়ের আড়ালে মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি চালানোর অভিযোগ উঠেছে এক পরিবারের বিরুদ্ধে। বিশেষ অভিযানে ওই পরিবারের কর্তা ব্যক্তি ও কথিত সাংবাদিকের বাবা ‘মাদক সম্রাট’ জমিরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের কালাকুমা শিমুলতা এলাকার নিজ বাড়ি থেকে মাদক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি জমিরকে গ্রেফতার করা হয়। স্থানীয়দের দাবি, জমির ও তার পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, পরিবারের মাদক ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে জমির তার ছেলে বাদশাকে ‘সাংবাদিক’ পরিচয় দেয়। বাদশা নিজেকে একটি মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায় করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, বাদশার নেতৃত্বে গঠিত তথাকথিত মানবাধিকার কমিটিতে যাদের সদস্য করা হয়েছে, তাদের অধিকাংশই অবৈধ বালু ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এ সুযোগে বাদশা ও তার সহযোগীরা বিভিন্ন সময় সরকারি কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে এলাকায় চাঁদাবাজি ও ভয়ভীতিমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।

এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, জমির ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

জনপ্রিয়

লকডাউন সফল করো’ স্লোগানে বান্দরবানের লামায় নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের মিছিল, আটক ১

নালিতাবাড়ীতে সাংবাদিক পরিবারের কাণ্ড

বাবার বিরুদ্ধে মাদক মামলা, ছেলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ০৩:২৪:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে সাংবাদিক পরিচয়ের আড়ালে মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি চালানোর অভিযোগ উঠেছে এক পরিবারের বিরুদ্ধে। বিশেষ অভিযানে ওই পরিবারের কর্তা ব্যক্তি ও কথিত সাংবাদিকের বাবা ‘মাদক সম্রাট’ জমিরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের কালাকুমা শিমুলতা এলাকার নিজ বাড়ি থেকে মাদক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি জমিরকে গ্রেফতার করা হয়। স্থানীয়দের দাবি, জমির ও তার পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, পরিবারের মাদক ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে জমির তার ছেলে বাদশাকে ‘সাংবাদিক’ পরিচয় দেয়। বাদশা নিজেকে একটি মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায় করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, বাদশার নেতৃত্বে গঠিত তথাকথিত মানবাধিকার কমিটিতে যাদের সদস্য করা হয়েছে, তাদের অধিকাংশই অবৈধ বালু ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এ সুযোগে বাদশা ও তার সহযোগীরা বিভিন্ন সময় সরকারি কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে এলাকায় চাঁদাবাজি ও ভয়ভীতিমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।

এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, জমির ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।