০৯:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

এপিএস মিজানের খালাতো ভাই আলমগীর অন্যের স্ত্রীকে নিয়ে উধাও

কালিগঞ্জ উপজেলার মুসরত মদাতি গ্রামের রানী বেগমের সঙ্গে ২০০১ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় আদিতমারী উপজেলার মহিষ খোচা ইউনিয়নের বারঘরিয়া এলাকার মকবুল হোসেনের পুত্র মোস্তাক আহমেদ ওরফে সাইদুলের।
বিয়ের পর সুখে শান্তিতে তাদের দিন কাটছিলো। বিয়ের পর তাদের ঘরে দুটি সন্তান জন্ম নেয়। প্রথম সন্তান ছেলে আব্দুর রহমান (১৮) দ্বিতীয় সন্তান মেয়ে সিদরাতুল মুনতাহা (৯) মোসতাক আহমেদ ওরফে সাইদুল চাকরি করার সুবাদে স্ত্রী ও সন্তানকে রেখে ঢাকায় পাড়ি জমান। এরই মধ্যে আলমগীর হোসেন মোস্তাক আহমেদের স্ত্রীর নামে টিসিবির কার্ড করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে জাতীয় পরিচয় পত্র হাতিয়ে নেন। একপর্যায়ে রানী বেগমের স্বামী বাসায় না থাকার সুবাদে আলমগীর হোসেন প্রতিনিয়ত তার বাড়িতে যাতায়াত এর সুযোগ নেয় রানী বেগমের এতে কিছু পোলবান দেখিয়ে রানী বেগম এর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে । এতে দুজনের মধ্যে অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে কিন্তু এপিএস মিজানের খালাতো ভাই হওয়ার কারনে কিছু বলতে পারে নাই এলাকাবাসি । স্বামী মোস্তাক ঢাকায় অবস্থান করার সুবাদে সুযোগ কাজে লাগিয়ে রানী বেগম কে সম্পর্ক করতে বাধ্য করে । এক পর্যায়ে গত ১১ জুন’ ২০২৫ তারিখে রাত আনুমানিক আটটার সময় আলমগীর স্বামীর বাড়ী থেকে রানী বেগমকে উঠাইয়া নিয়া জোরপূর্বক বিয়ে করেন। পরে আলমগীর হোসেন ও রানী বেগম গত ২০/৯/২৫ ৩ তারিখে রাত বারোটার সময় রানী বেগম ও তার স্বামী আলমগীর হোসেন রানী বেগমের বাবার বাড়ী কালীগঞ্জের মদতিতে রেখে আসেন। পরবর্তীতে গত ২১/৯/২০২৫ ইং তারিখে নোটারি পাবলিক কার্যালয় লালমনিরহাট গিয়ে এফিডেফিডের মাধ্যমে রানী বেগম আলমগীরকে তালাক প্রদান করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৬ অক্টোবর রাতে রানী বেগমকে জোরপূর্বক বাড়ি হতে তুলে নিয়ে যায় আলমগীর। এ ঘটনায় রানির বাবা আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে যে বিভিন্ন সময় এপিএস মিজান এর প্রভাব খাটিয়ে অকাম কুকাম করতো এই আলমগীর কে পুলিশ এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি। এই ঘটনায় ওই এলাকায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ বলেন, অপহরণকারীদের ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

জনপ্রিয়

লকডাউন সফল করো’ স্লোগানে বান্দরবানের লামায় নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের মিছিল, আটক ১

এপিএস মিজানের খালাতো ভাই আলমগীর অন্যের স্ত্রীকে নিয়ে উধাও

প্রকাশের সময় : ০৫:৩৩:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

কালিগঞ্জ উপজেলার মুসরত মদাতি গ্রামের রানী বেগমের সঙ্গে ২০০১ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় আদিতমারী উপজেলার মহিষ খোচা ইউনিয়নের বারঘরিয়া এলাকার মকবুল হোসেনের পুত্র মোস্তাক আহমেদ ওরফে সাইদুলের।
বিয়ের পর সুখে শান্তিতে তাদের দিন কাটছিলো। বিয়ের পর তাদের ঘরে দুটি সন্তান জন্ম নেয়। প্রথম সন্তান ছেলে আব্দুর রহমান (১৮) দ্বিতীয় সন্তান মেয়ে সিদরাতুল মুনতাহা (৯) মোসতাক আহমেদ ওরফে সাইদুল চাকরি করার সুবাদে স্ত্রী ও সন্তানকে রেখে ঢাকায় পাড়ি জমান। এরই মধ্যে আলমগীর হোসেন মোস্তাক আহমেদের স্ত্রীর নামে টিসিবির কার্ড করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে জাতীয় পরিচয় পত্র হাতিয়ে নেন। একপর্যায়ে রানী বেগমের স্বামী বাসায় না থাকার সুবাদে আলমগীর হোসেন প্রতিনিয়ত তার বাড়িতে যাতায়াত এর সুযোগ নেয় রানী বেগমের এতে কিছু পোলবান দেখিয়ে রানী বেগম এর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে । এতে দুজনের মধ্যে অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে কিন্তু এপিএস মিজানের খালাতো ভাই হওয়ার কারনে কিছু বলতে পারে নাই এলাকাবাসি । স্বামী মোস্তাক ঢাকায় অবস্থান করার সুবাদে সুযোগ কাজে লাগিয়ে রানী বেগম কে সম্পর্ক করতে বাধ্য করে । এক পর্যায়ে গত ১১ জুন’ ২০২৫ তারিখে রাত আনুমানিক আটটার সময় আলমগীর স্বামীর বাড়ী থেকে রানী বেগমকে উঠাইয়া নিয়া জোরপূর্বক বিয়ে করেন। পরে আলমগীর হোসেন ও রানী বেগম গত ২০/৯/২৫ ৩ তারিখে রাত বারোটার সময় রানী বেগম ও তার স্বামী আলমগীর হোসেন রানী বেগমের বাবার বাড়ী কালীগঞ্জের মদতিতে রেখে আসেন। পরবর্তীতে গত ২১/৯/২০২৫ ইং তারিখে নোটারি পাবলিক কার্যালয় লালমনিরহাট গিয়ে এফিডেফিডের মাধ্যমে রানী বেগম আলমগীরকে তালাক প্রদান করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৬ অক্টোবর রাতে রানী বেগমকে জোরপূর্বক বাড়ি হতে তুলে নিয়ে যায় আলমগীর। এ ঘটনায় রানির বাবা আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে যে বিভিন্ন সময় এপিএস মিজান এর প্রভাব খাটিয়ে অকাম কুকাম করতো এই আলমগীর কে পুলিশ এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি। এই ঘটনায় ওই এলাকায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ বলেন, অপহরণকারীদের ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।