কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ থেকে প্রতিদিনই অবৈধ পথে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রবণতা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। টেকনাফ সদরের বিভিন্ন ঘাট, বিশেষ করে সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ, নাফ নদীর পাড় ও দমদমিয়া ঘাট দিয়ে দালাল চক্র গোপনে মানুষ পাচার করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এসব দালাল চক্র প্রতিজনের কাছ থেকে তিন থেকে চার লাখ টাকারও বেশি হাতিয়ে নিচ্ছে। তারা মালয়েশিয়ায় ভালো চাকরি ও নিরাপদ যাত্রার আশ্বাস দিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রলুব্ধ করছে। কিন্তু বাস্তবে অনেকেই সাগর পথে দুর্ঘটনা, নিখোঁজ বা আটক হওয়ার মতো ভয়াবহ পরিণতির শিকার হচ্ছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রশাসনিক অভিযান থাকলেও দালালরা নতুন কৌশলে সক্রিয় রয়েছে। তারা রাতের অন্ধকারে ছোট ট্রলার বা নৌকায় করে লোক পাঠাচ্ছে। ফলে উপকূল এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, “প্রতিদিনই শুনি কেউ না কেউ মালয়েশিয়া যাচ্ছে, কিন্তু কয়জন আসলে পৌঁছায় তা কেউ জানে না।”
এ বিষয়ে টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, “মানবপাচার রোধে নিয়মিত অভিযান চলছে। দালাল চক্রের মূল হোতাদের ধরতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।”
মানবাধিকারকর্মীরা মনে করছেন, দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপই পারে এই অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করতে।

আব্দুর রহমান জামী, টেকনাফ প্রতিনিধি: 


















