০২:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

স্ত্রীর পরকীয়া সন্দেহে ছোট ভাইয়ের দা’য়ের কোপে বড় ভাই নিহত

শেরপুরে স্ত্রীর সঙ্গে বড় ভাইয়ের পরকীয়ার সন্দেহে ছোট ভাইয়ের ধারালো অস্ত্রের কোপে বড় ভাই নিহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কান্দাশেরী গ্রামে।

নিহতের নাম একাব্বর মিয়া (২৮)। তিনি মৃত হায়দার আলীর ছেলে। অভিযুক্ত ছোট ভাইয়ের নাম ফারুক মিয়া।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফারুক মিয়ার স্ত্রী মাকসুদা বেগমের সঙ্গে তার বড় ভাই একাব্বর মিয়ার পরকীয়া সম্পর্কের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হলে দুই ভাইয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।
মঙ্গলবার সকালে এ নিয়ে দাম্পত্য কলহের একপর্যায়ে ফারুক ও তার স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার সময় বড় ভাই একাব্বর বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে ফারুক দা দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে।

গুরুতর অবস্থায় স্থানীয়রা একাব্বরকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. প্রমা বলেন, “নিহত একাব্বরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আনা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গভীর কোপের ক্ষত ছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহে পাঠানো হয়।”

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবায়দুল আলম বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে এটি পারিবারিক দ্বন্দ্বজনিত হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

জনপ্রিয়

সিলেট-৬ আসনে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন পেলেন ফয়সল আহমদ

স্ত্রীর পরকীয়া সন্দেহে ছোট ভাইয়ের দা’য়ের কোপে বড় ভাই নিহত

প্রকাশের সময় : ০৮:৩৮:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

শেরপুরে স্ত্রীর সঙ্গে বড় ভাইয়ের পরকীয়ার সন্দেহে ছোট ভাইয়ের ধারালো অস্ত্রের কোপে বড় ভাই নিহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কান্দাশেরী গ্রামে।

নিহতের নাম একাব্বর মিয়া (২৮)। তিনি মৃত হায়দার আলীর ছেলে। অভিযুক্ত ছোট ভাইয়ের নাম ফারুক মিয়া।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফারুক মিয়ার স্ত্রী মাকসুদা বেগমের সঙ্গে তার বড় ভাই একাব্বর মিয়ার পরকীয়া সম্পর্কের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হলে দুই ভাইয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।
মঙ্গলবার সকালে এ নিয়ে দাম্পত্য কলহের একপর্যায়ে ফারুক ও তার স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার সময় বড় ভাই একাব্বর বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে ফারুক দা দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে।

গুরুতর অবস্থায় স্থানীয়রা একাব্বরকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. প্রমা বলেন, “নিহত একাব্বরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আনা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গভীর কোপের ক্ষত ছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহে পাঠানো হয়।”

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবায়দুল আলম বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে এটি পারিবারিক দ্বন্দ্বজনিত হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”