০১:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে বেরোবিতে মশাল প্রজ্বালন

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল প্রজ্বালন করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে এই মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা ‘তিস্তার পানি নিয়ে টালবাহানা চলবে না’, ‘ন্যায্য পানির হিস্যা দিতে হবে’, ‘ভারত যদি বন্ধু হও, ন্যায্য পানির হিস্যা দাও’ ইত্যাদি নানা স্লোগান দেন।

গণিত বিভাগের মো. ইমরান বলেন, উত্তরবঙ্গের মানুষ গুলোর দীর্ঘদিনের কষ্টের কারণ এই তিস্তা নদী। তিস্তা পাড়ের মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু ভাইয়ের সমন্বয়ে গতকাল তিস্তা পাড়ের ১০৫৷ কিলোমিটার জুড়ে মশাল প্রজ্বলন কে সমর্থন জানিয়ে আজকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এই আয়োজন। আমরা এই মশাল প্রজ্বলন থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্পষ্টভাবে জনিয়ে দিতে চাই, হবে হবে আশার আলো না দেখিয়ে সামনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে তিস্তা মহা-পরিকল্পনার কাজ শুরু করে এই নদী পাড়ের মানুষগুলোকে বাঁচান। সরকারের পর সরকার আসে কিন্তু এই অঞ্চলের মানুষের সাথে প্রহসন চলতেই থাকে তাই এবার অনন্ত এর ইতি টানুন।

 

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমান সিয়াম বলেন, তিস্তা কোনোভাবেই ভারতের সম্পত্তি নয়; এটি আমাদের ন্যায্য অধিকার। তিস্তার উজানে বাঁধ দিয়ে নদীর তীরবর্তী অঞ্চলকে মরুভূমিতে পরিণত করার যে চেষ্টা চলছে, তারই প্রতিবাদে আমরা এই মশাল প্রজ্বালন করেছি। অনতিবিলম্বে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু করতে হবে।

 

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার সোহাগ বলেন, ভারতের সঙ্গে অভিন্ন ৫৭টি নদীর অধিকাংশেই ভারত আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন করে একতরফাভাবে বাঁধ নির্মাণ করেছে। পানি নিয়ে রাজনীতি করতেই আবরার ফাহাদ ভাইকে প্রাণ দিতে হয়েছে। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হওয়ায় উত্তরাঞ্চলের পাঁচটি জেলা এখন ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানাই—অবিলম্বে এ প্রকল্পের কাজ শুরু করা হোক।

মশাল মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

জনপ্রিয়

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে কাজ করতে হবে: আতাউর রহমান সম্ভু

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে বেরোবিতে মশাল প্রজ্বালন

প্রকাশের সময় : ০৮:২১:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল প্রজ্বালন করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে এই মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা ‘তিস্তার পানি নিয়ে টালবাহানা চলবে না’, ‘ন্যায্য পানির হিস্যা দিতে হবে’, ‘ভারত যদি বন্ধু হও, ন্যায্য পানির হিস্যা দাও’ ইত্যাদি নানা স্লোগান দেন।

গণিত বিভাগের মো. ইমরান বলেন, উত্তরবঙ্গের মানুষ গুলোর দীর্ঘদিনের কষ্টের কারণ এই তিস্তা নদী। তিস্তা পাড়ের মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু ভাইয়ের সমন্বয়ে গতকাল তিস্তা পাড়ের ১০৫৷ কিলোমিটার জুড়ে মশাল প্রজ্বলন কে সমর্থন জানিয়ে আজকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এই আয়োজন। আমরা এই মশাল প্রজ্বলন থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্পষ্টভাবে জনিয়ে দিতে চাই, হবে হবে আশার আলো না দেখিয়ে সামনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে তিস্তা মহা-পরিকল্পনার কাজ শুরু করে এই নদী পাড়ের মানুষগুলোকে বাঁচান। সরকারের পর সরকার আসে কিন্তু এই অঞ্চলের মানুষের সাথে প্রহসন চলতেই থাকে তাই এবার অনন্ত এর ইতি টানুন।

 

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমান সিয়াম বলেন, তিস্তা কোনোভাবেই ভারতের সম্পত্তি নয়; এটি আমাদের ন্যায্য অধিকার। তিস্তার উজানে বাঁধ দিয়ে নদীর তীরবর্তী অঞ্চলকে মরুভূমিতে পরিণত করার যে চেষ্টা চলছে, তারই প্রতিবাদে আমরা এই মশাল প্রজ্বালন করেছি। অনতিবিলম্বে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু করতে হবে।

 

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার সোহাগ বলেন, ভারতের সঙ্গে অভিন্ন ৫৭টি নদীর অধিকাংশেই ভারত আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন করে একতরফাভাবে বাঁধ নির্মাণ করেছে। পানি নিয়ে রাজনীতি করতেই আবরার ফাহাদ ভাইকে প্রাণ দিতে হয়েছে। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হওয়ায় উত্তরাঞ্চলের পাঁচটি জেলা এখন ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানাই—অবিলম্বে এ প্রকল্পের কাজ শুরু করা হোক।

মশাল মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।