১১:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

বিয়ের তিন মাসেই শ্বশুরবাড়ি থেকে নববধূর মরদেহ উদ্ধার

প্রেমের সম্পর্কের পর বিয়ের মাত্র তিন মাসের মাথায় শ্বশুরবাড়ি থেকে লামিয়া আক্তার বর্ষা (২২) নামে এক নববধূ  মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে বরিশাল নগরীর উত্তর আমানতগঞ্জ বেলতলা বাজার এলাকার একটি বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। লামিয়া আক্তার বর্ষা সরকারি বরিশাল কলেজের  শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি নগরীর কাউনিয়া এলাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ী বেলায়েত খানের মেয়ে।

বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মৃত্যুর কারণ নিশ্চিতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিয়ের পর থেকেই বর্ষা ও তার স্বামী সিয়ামের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। ঘটনার রাতেও অসুস্থতার খবর পেয়ে বর্ষার বাবা বেলায়েত খান শ্বশুরবাড়িতে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে মেয়ের নিথরদেহ দেখতে পান তিনি।

বর্ষার বাবা বলেন, বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়েকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করতো। ঘটনার রাতে তারা খবর দেয়, বর্ষা অসুস্থ। গিয়ে দেখি, খালি ঘরের একটি রুমে মেয়ের মরদেহ পড়ে আছে। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকেই বর্ষার স্বামী সিয়ামসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই নারীকে আটক করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

 

জনপ্রিয়

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে কাজ করতে হবে: আতাউর রহমান সম্ভু

বিয়ের তিন মাসেই শ্বশুরবাড়ি থেকে নববধূর মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশের সময় : ০৮:০৭:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

প্রেমের সম্পর্কের পর বিয়ের মাত্র তিন মাসের মাথায় শ্বশুরবাড়ি থেকে লামিয়া আক্তার বর্ষা (২২) নামে এক নববধূ  মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে বরিশাল নগরীর উত্তর আমানতগঞ্জ বেলতলা বাজার এলাকার একটি বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। লামিয়া আক্তার বর্ষা সরকারি বরিশাল কলেজের  শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি নগরীর কাউনিয়া এলাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ী বেলায়েত খানের মেয়ে।

বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মৃত্যুর কারণ নিশ্চিতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিয়ের পর থেকেই বর্ষা ও তার স্বামী সিয়ামের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। ঘটনার রাতেও অসুস্থতার খবর পেয়ে বর্ষার বাবা বেলায়েত খান শ্বশুরবাড়িতে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে মেয়ের নিথরদেহ দেখতে পান তিনি।

বর্ষার বাবা বলেন, বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়েকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করতো। ঘটনার রাতে তারা খবর দেয়, বর্ষা অসুস্থ। গিয়ে দেখি, খালি ঘরের একটি রুমে মেয়ের মরদেহ পড়ে আছে। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকেই বর্ষার স্বামী সিয়ামসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই নারীকে আটক করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।